নেইমারকে ‘আবর্জনা’ বললেন সেই আলভারো

neymar alvaro
ছবি: টুইটার

নেইমার আর আলভারো গঞ্জালেজের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত ঘটে গত সেপ্টেম্বরে। সেই থেকে দুজনের মধ্যে সমঝোতা হওয়ার কোনো আভাস তো নেই-ই, বরং যত দিন যাচ্ছে, ততই যেন ঘনীভূত হচ্ছে এক জনের প্রতি আরেক জনের ক্ষোভ। এবার নেইমারের খোঁচার জবাবে তাকে ‘আবর্জনা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন আলভারো।

দুই ফুটবলারের ব্যক্তিগত লড়াইয়ের নতুন পর্বটি মঞ্চস্থ হয়েছে বুধবার রাতে। লঁসে ফরাসি সুপার কাপের ফাইনালে নেইমারের প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) মোকাবিলা করে আলভারোর অলিম্পিক মার্সেইকে। সেখানে ২-১ ব্যবধানে জিতে টানা অষ্টম ও সবমিলিয়ে দশমবারের মতো এই প্রতিযোগিতার শিরোপা জেতে প্যারিসিয়ানরা।

প্রথমার্ধে মাউরো ইকার্দির গোলে এগিয়ে যাওয়া পিএসজির হয়ে ম্যাচের শেষদিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার। চোট কাটিয়ে ফেরা এই ব্রাজিলিয়ান তারকা বিরতির পর বদলি নেমে পেনাল্টি থেকে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন। এরপর দিমিত্রি পায়েত নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে ব্যবধান কমালেও শেষরক্ষা হয়নি আলভারোদের। রানার্সআপের মেডেল নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় মার্সেইকে।

চ্যাম্পিয়ন হয়ে আলভারোকে বিদ্রূপ করার যেন মোক্ষম সুযোগ পেয়ে যান নেইমার। সময়ের অন্যতম সেরা এই তারকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে তাকে ভেংচি কাটতে দেখা যায়। ছবির ক্যাপশনে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার আলভারোর উদ্দেশ্যে কিছু শব্দও লিখেন তিনি।

কিন্তু নেইমারের প্রতিপক্ষও তো এত সহজে দমে যাওয়ার পাত্র নয়। তিনিও রিটুইট করে পাল্টা জবাব দেন। আলভারো একটি ছবি পোস্ট করেন যেখানে তাকে নেইমারের মাথা চেপে ধরতে দেখা যায়। আর ক্যাপশনে লিখা ছিল, ‘আমার বাবা-মা আমাকে শিখিয়েছে সবসময় আবর্জনা বাইরে ফেলে দিতে।’

‘আবর্জনা’ বলতে আলভারো কাকে বুঝিয়েছেন, তা আর আলাদা করে বলে দিতে হয় না। ৬৫তম মিনিটে নেইমার মাঠে নামার পর তাকে বেশ কয়েকবার ফাউল করেন তিনি। ৭৭তম মিনিটে দেখেন হলুদ কার্ডও।

সেপ্টেম্বরের ওই দেখায় মার্সেইয়ের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল পিএসজি। ফরাসি লিগ ওয়ানের উত্তেজনাপূর্ণ সেই ম্যাচে দুদলের পাঁচ জন দেখেছিলেন লাল কার্ড। তাদের মধ্যে নেইমারও ছিলেন। আলভারোর মাথার পেছনে আঘাত করায় তার কপালে জুটেছিল দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার শাস্তিও।

ম্যাচ শেষে নেইমার অভিযোগ তুলেছিলেন, তাকে উদ্দেশ্য করে বর্ণ বিদ্বেষী মন্তব্য করেছেন আলভারো। কিন্তু তা অস্বীকার করা হয় মার্সেইয়ের পক্ষ থেকে। উল্টো সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে সমকাম বিদ্বেষী মন্তব্য করার। পরবর্তীতে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ফ্রান্সের পেশাদার ফুটবল লিগের নিয়ন্ত্রক সংস্থার (এলএফপি) শৃঙ্খলা কমিটি।

Comments

The Daily Star  | English

What's inside Trump's tariff letter to Yunus

The letter stated that Bangladeshi goods transshipped to evade the new tariff would be subject to higher duties.

1h ago