ঘরের মাঠে ব্রড-বেসে কাবু শ্রীলঙ্কা
নিজেদের মাঠ, চেনা কন্ডিশন। সেখানে আগে ব্যাটিং বেছেও তালগোল পাকালো শ্রীলঙ্কা। ইংল্যান্ডের অফ স্পিনার ডম বেস তাদের কাছে হয়ে উঠলেন ভয়ঙ্কর। স্টুয়ার্ট ব্রড থাকলেন বরাবরের মতই কার্যকর। তাদের তোপে খাবি খেয়ে দেড়শও করতে পারেনি স্বাগতিকরা।
ম্যাচ শুরুর আগে চোটে নিয়মিত অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নকে হারায় শ্রীলঙ্কা। দীনেশ চান্দিমালের নেতৃত্ব খেলতে নেমে গল টেস্টের প্রথম দিনেই ব্যাকফুটে তারা। বৃহস্পতিবার আগে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা মাত্র ১৩৫ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর ২ উইকেটে ১২৭ রান তুলে দিন শেষ করেছে ইংল্যান্ড। হাতে ৮ উইকেট নিয়ে মাত্র ৮ রানে পিছিয়ে তারা।
জো রুট ব্যাট করছেন ৬৬ রানে, বেয়ারস্টো অপরাজিত আছেন ৪৭ রানে।
এর আগে ব্রডের ২০ রানে ৩ আর বেসের ৩০ রানের ৫ উইকেটে চান্দিমালদের ধসে পড়ার গল্প।
ব্যাট করতে গিয়েই এলোমেলো দেখা যায় লঙ্কানদের। কুশল পেরেরা নেন মেরে খেলার অ্যাপ্রোচ। অন্যদিকে ধুঁকতে থাকেন লাহিরু থিরিমান্নে। থেমেছেনও তিনিই আগে। ব্রডের লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল ফ্লিক করে শর্ট স্কয়ার লেগে ক্যাচ উঠান এই বাঁহাতি।
নেমেই বিদায় নেন কুশল মেন্ডিস। ব্রডের স্লোয়ার বলে কোন রান না করেই ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। এই নিয়ে টানা চার ইনিংসে ০ রানে আউট হলেন এই ব্যাটসম্যান। শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে টানা চার ইনিংসে শূন্য রানে ফেরেননি আর কেউ।
১৬ রানে ২ উইকেট হারানো দলকে ভরসা দেওয়ার বদলে ডুবিয়েছেন কুশল পেরেরা। দ্রুত রান করার চেষ্টায় থাকা এই ব্যাটসম্যান বেসকে উপহার দেন প্রথম উইকেট। পরিস্থিতির সঙ্গে বেমানান এক রিভার্স সুইপ থামায় তাকে। ২৮ বলে ২২ রান করেছেন তিনি।
এরপর দুই অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস আর চান্দিমালের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় ছিল শ্রীলঙ্কা। দুজনেই থিতু হয়ে গিয়েছিলেন, বাড়ছিল জুটিও। কিন্তু ৫৬ রানের জুটির পর ফের গড়বড়। ম্যাথিউসকে তৃতীয় শিকার বানান ব্রড। চান্দিমাল থামেন জ্যাক লিচের বলে। একশোর আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা স্বাগতিকদের পথে দেখাতে পারেননি নিরোশান ডিকভেলা। দাসুন শানাকা থিতু হয়েছিলেন। ২৩ রান করে বেসের বলে ক্যাচ উঠান তিনিও। এরপর বলার মতো রান করেছেন কেবল ওয়েইন্দু হাসারাঙ্গা। ২২ বলে ১৯ করা এই ব্যাটসম্যানকেও বোল্ড করেন বেস। লঙ্কানদের তাই থামতে হয় দেড়শোর আগে।
দিনের অনেকটা সময় বাকি থাকায় প্রথম দিনেই তাই লিড নেওয়ার অবস্থায় চলে যায় ইংল্যান্ড। লাসিথ এম্বুলদুনিয়ার পেসে ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার ফিরে গিয়েছলেন দ্রুত। ১৭ রানেই ২ উইকেট হারিয়েছিল সফরকারীরা। এরপরই জুটি বাধেন জনি বেয়ারস্টো আর জো রুট। বাকি দিনে আর বিচ্ছিন্ন হননি তারা। ১১৭ রানের জুটিতে রুট তুলে নিয়েছেন ফিফটি, ফিফটির পথে বেয়ারস্টো। বড় রানের পথে ইংল্যান্ড।
Comments