ময়মনসিংহ: ‘ক্ষমতাসীন দল প্রতিনিয়ত আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে’
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স অভিযোগ করেছেন, পৌর নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল প্রতিনিয়ত আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি।
আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বিতীয় দফা পৌরসভার নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার দাবি জানিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স অভিযোগ করে বলেন, ‘এবারের পৌরসভা নির্বাচনেও সরকার দলীয় নেতা-কর্মীরা বিএনপির প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের প্রচার কাজে বাধা প্রদান, হামলা, হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিগত ১২ বছরে জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন কোনোটাই সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষভাবে হয়নি। এসব নির্বাচন জাতীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়নি। এরপরও গণতন্ত্রের বৃহত্তর স্বার্থে ও আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি চলমান পৌরসভার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। কিন্তু, দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এবারের পৌরসভা নির্বাচনেও ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই।’
ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন পৌরসভার নির্বাচনের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করে তিনি বলেন, ‘সবকটি পৌরসভার নির্বাচনে চাপা ক্ষোভ ও আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজমান। ক্ষমতাসীন দল প্রতিনিয়ত আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। কেন্দুয়ায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীর ওপর হামলা হয়েছে। মুক্তাগাছায় প্রচারণার সময় হামলায় তিন জন আহত হয়েছেন। কুলিয়ারচরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের এলাকা ছেড়ে যেতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এসব ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে প্রতিকার চেয়েও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না।’
এর আগে, তিনি ময়মনসিংহের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় দফা পৌরসভার নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার দাবি জানান। একইসঙ্গে নির্বাচনী প্রচারকাজে বাঁধা প্রদান ও হামলাকারী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং কঠোরভাবে নির্বাচনী সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি জানান এই বিএনপি নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, মহানগর আহ্বায়ক অধ্যাপক এ কে এম শফিকুল ইসলাম ও যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ, অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম ফারুক, মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এম এ হান্নান খান, এ কে এম মাহবুবুল আলম, শামীম আজাদ, যুবদলের জেলা সভাপতি রোকনুজ্জামান সরকার রোকন, শ্রমিকদলের জেলা সভাপতি আবু সাঈদসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
এর আগে, বিএিনপি নেতারা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
Comments