যুক্তরাষ্ট্র-ইরান উত্তেজনা বাড়ছেই

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের উত্তেজনা বাড়ছেই। এ উত্তেজনার মাত্রা বাড়িয়ে ওমান উপসাগরে একটি ক্রুজ ক্ষেপণাত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান।
Iran missile
ইরানের সেনাবাহিনীর প্রকাশিত ছবিতে নৌ-মহড়া। ১৪ জানুয়ারি ২০২১। ছবি: এপি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের উত্তেজনা বাড়ছেই। এ উত্তেজনার মাত্রা বাড়িয়ে ওমান উপসাগরে একটি ক্রুজ ক্ষেপণাত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান।

আজ শুক্রবার ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আরব টাইমস

সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার নৌ-মহড়ার অংশ হিসেবে ইরান ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি ছুড়েছে।

ইরানের সংবাদমাধ্যমে সমুদ্রের স্থল ইউনিট ও জাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করার ভিডিওচিত্র দেখানো হয়েছে। তবে সেগুলোর পরিসর বা সেসব সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

দুই দিনের ওই মহড়াটি গত বুধবার শুরু হয়েছিল। সেদেন দেশটির নৌবাহিনী তাদের সবচেয়ে বড় সামরিক জাহাজের উদ্বোধন করে। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে এই মহড়াটি অনুষ্ঠিত হয়।

মহড়াটির মুখপাত্র হামজেহ আলী কাভিয়ানী সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘শত্রুদের জানা উচিত যে ইরানের সমুদ্রসীমায় কোনো ধরনের সহিংসতা ও আক্রমণ হলে উপকূল ও সমুদ্র— উভয় দিক থেকেই ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এর জবাব দেওয়া হবে।’

গত জুলাইয়ে তেহরান প্রায় ২৮০ কিলোমিটার বিস্তৃত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কথা জানিয়েছিল।

সম্প্রতি, ওই অঞ্চলে সামরিক মহড়া বাড়িয়েছে তেহরান। গত শনিবার দেশটির আধাসামরিক বিপ্লব রক্ষী বাহিনী (রেভুলেশনারি গার্ড) আরব সাগরে একটি নৌ-মহড়া চালায়। এর প্রায় এক সপ্তাহ আগে গোটা দেশের প্রায় অর্ধেক এলাকা জুড়ে একটি বিশাল ড্রোন মহড়ার আয়োজন করা হয়েছিল।

২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেয় এবং উপসাগরীয় দেশটির ওপর নতুন করে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

পরমাণু চুক্তির আগে যুক্তরাষ্ট্রসহ শক্তিধর দেশগুলোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নেওয়ার বিনিময়ে ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সীমিত করতে রাজি হয়েছিল। ট্রাম্প নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে অন্যান্য ইস্যুর মধ্যে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কথাও সব সময় বলে আসছেন।

যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে তেহরান ধীরে ধীরে চুক্তি থেকে সরে আসতে শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তীব্র উত্তেজনা দেশ দুটিকে গত বছরের শুরুতে প্রায় যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছিল।

Comments

The Daily Star  | English
‘No rule of game’ in collecting remittance

Remittance inflow climbs 21% in November

Migrant workers sent home $1.93 billion in November this year, which was $1.59 billion in the same month last year.

33m ago