কাকরাইলে জোড়া খুনের মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় মা ও ছেলেকে হত্যার অপরাধে তিন জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. রবিউল আলম এই রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— আবদুল করিম, আবদুল করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমিন আক্তার মুক্তা ও তার ভাই আল আমিন জনি। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় শামসুন্নাহার ও তার ১৭ বছর বয়সী ছেলে সাজ্জাদুল করিম শাওনকে হত্যা করা হয়। রায়ে আদালত বলেছেন, ‘আবদুল করিম হীন উদ্দেশ্যে স্ত্রী ও ছেলেকে হত্যা করেছেন। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। সন্তান পিতা-মাতার সম্পদ। অথচ আবদুল করিম ঠান্ডা মাথায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের সহযোগিতায় স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যা করেছেন।’
২০১৮ সালের ১৬ জুলাই এই মামলায় তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন রমনা থানার পরিদর্শক মো. আলী হোসেন। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি আদালত অভিযোগ গঠন করেন। এই মামলায় ২২ জনের মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তাতে উঠে আসে, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে শামসুন্নাহার ও শাওনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের পরের দিন শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। রমনা থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় আবদুল করিম, আবদুল করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমিন আক্তার মুক্তা ও তার ভাই আল আমিন জনি ছাড়াও অজ্ঞাতনামা কয়েক জনকে আসামি করা হয়। ৩ নভেম্বর পুলিশ আবদুল করিম ও মুক্তাকে গ্রেপ্তার করে। পরের দিন গোপালগঞ্জের মকসুদপুর উপজেলা থেকে র্যাব জনিকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করে।
Comments