ফেনীতে নৈশপ্রহরী হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী মো. সফি উল্যাহ (৬০) হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন নেছা এ রায় দেন।
ফেনীর সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হাফেজ আহম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নৈশপ্রহরী হত্যা মামলার রায়ে সোহেল হাওলাদার ওরফে ঘোড়া সোহেলের মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, ফেনী পৌরসভার বারাহীপুর গাজীক্রস রোডের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন ফেনী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী সফি উল্যাহ (৬০)। তার বাড়ি সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামে। ২০১৯ সালের ২৯ মে সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তরা তাকে ঘরের মধ্যেই হত্যা করে বেতন-বোনাসের এক লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। তিনি তখন বাসায় একাই ছিলেন। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ফেনী থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন ৩০ মে সফি উল্যাহর ছেলে মো. মোতালিব হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় পুলিশ সোহেল হাওলাদার ওরফে ঘোড়া সোহেলসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের তিন জন ফেনীর বিচারিক হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তারা তিনজনই সোহেল হাওলাদার ওরফে ঘোড়া সোহেলের কথায় এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়ার কথা জানায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান চৌধুরী তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৯ এপ্রিল আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন
আসামিদের মধ্যে তিনজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ফেনীর শিশু আদালতে পৃথক মামলা (২৬/২০) দায়ের করা হয়।
তবে, জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একমাত্র আসামি সোহেল হাওলাদার ওরফে ঘোড়া সোহেলের মামলা চলতে থাকে। এতে মামলার বাদীসহ ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সোহেল হাওলাদার ওরফে ঘোড়া সোহেল বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।
Comments