প্রথমবার ওয়ানডে দলে এসে তারা যা বলছেন
অনেকদিন ধরেই নির্বাচকদের নজরে ছিলেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম আর ডানহাতি পেসার হাসান মাহমুদ। বিভিন্ন ধাপে ধারাবাহিক পারফর্ম করে প্রত্যাশিতভাবেই তাদের ঠাঁই হয়েছে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলে। অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান ঘরোয়া ক্রিকেটে ছিলেন নিয়মিত পারফর্মার। গত কয়েকটি টুর্নামেন্টে সেরাদের সঙ্গে লড়ে নিজের অলরাউন্ড সামর্থ্যের জানান দেন দারুণভাবে। তার দলে আসাও প্রক্রিয়া মেনেই। ওয়ানডে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা তিন তরুণ ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন তাদের প্রতিক্রিয়া।
শরিফুল ইসলাম
‘আমি প্রথমবারের মত জাতীয় দলের স্কোয়াডে আছি। ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো। আসলে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের পরে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ, প্রেসিডেন্টস কাপে মোটামুটি ভালো খেলেছি। জাতীয় দলের সেরা একাদশে যদি জায়গা পাই তাহলে সেই পারফরমেন্সটা দেওয়ার চেষ্টা করব। জায়গাটা ধরে রাখার চেষ্টা করব।’
‘অনেক ভালো লাগছে জাতীয় দলের পরিবেশ। যখন অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলতাম বা যখন থেকে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছি তখন থেকেই ভাবতাম যে সাকিব ভাই, মুশফিক ভাই, রিয়াদ ভাই, তামিম ভাই, মোস্তাফিজ ভাই ওদের সঙ্গে যদি খেলতে পারি, থাকতে পারি। এটা স্বপ্ন ছিল। সেটা পূরণ হয়েছে। চেষ্টা করব পারফর্ম করে নিয়মিত তাদের সঙ্গে থাকতে।’
‘তারা আমার ভুলটা ধরিয়ে দিচ্ছে, নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য যেটা করা দরকার সেটা শেখাচ্ছে। খেলার ভেতরে সেটা যেন প্রভাব না ফেলে। তার জন্য অনুশীলনেই একবারে সব কিছু ধরিয়ে দিচ্ছে। ভুল শুধরে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ চেষ্টা করছি।’
‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন (যুব বিশ্বকাপে) হওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের মূল একটা শক্তি ছিল যে, সবাই আমরা একত্র ছিলাম, দেশের জন্য লড়ছি। সেই একতা যদি থাকে, আমরা সবাই যদি লড়াই করতে পারি আমরা আবার একদিন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হব জাতীয় দলের হয়ে।’
হাসান মাহমুদ
‘যেদিন থেকে খেলা শুরু করেছিলাম, সেদিন থেকেই জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন ছিল। এখন সুযোগ পেয়েছি। আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’
‘অবশ্যই সিনিয়রদের অনুপ্রেরণা কাজ করে। দেশীয় ক্রিকেটারই হোক বা বিদেশী ক্রিকেটারই হোক। সবাইকে দেখে দেখেই এতটুকু এগুনো। আর এখন যেহেতু আছি, সিনিয়রদের দেখেই অনুপ্রাণিত হই।’
‘লক্ষ্য অবশ্যই ভালো করার। নিজের সেরাটা দেওয়ার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজের সেরাটাই দিতে হবে। এটা দিয়ে তো আমার ক্যারিয়ার শুরু হবে।’
‘যখন যেখানে যে সংস্করণে খেলি, নিজের সেরাটা দিব। কেবল প্রক্রিয়াটা পালন করার চেষ্টা করব, নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করব।’
‘ধারাবাহিকতা বজায় রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার যেই সুযোগটা আছে সেটা কাজে লাগানো খুবই দরকার।’
মেহেদি হাসান
‘অবশ্যই পরিশ্রম করে এসেছি বাংলাদেশ দলে খেলার জন্য। প্রথমে আমার টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছে, এখন ওয়ানডেতে সুযোগ এসেছে।’
‘এটা আসলে অনুপ্রেরণা। চাপ হবে কেনো? আমরা যেহেতু ক্রিকেটার, চাপ নেওয়ার কিছু নাই। যেহেতু আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি, চেষ্টা করছি, এটা আমাদের অনেক কিছু। চাপ নিতে হলে সেটা ম্যাচের ভেতরে প্রভাব পড়ে, ম্যাচের বাইরে চাপটা ওরকম আসে না।’
‘যদি একাদশে সুযোগ হয়, নিজের সেরাটা দেয়ার অবশ্যই চেষ্টা থাকবে। যেহেতু আমি বোলিং করতে পারি, ব্যাটিং করতে পারি, যে জায়গায় যেখানে সুযোগ আসে চেষ্টা করব কাজে লাগানোর।’
Comments