ছয় পেসার নয়, চার স্পিনারের দিকে চোখ ক্যারিবিয়ানদের
ঘরের মাঠে স্পিন দিয়েই এশিয়ার বাইরের দলগুলোকে কাবু করার রীতি বাংলাদেশের। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে স্কোয়াডে ছয়জন পেসার রেখেছে বাংলাদেশ। পরিকল্পনা কি তবে বদলে গেল? উইন্ডিজের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স অবশ্য দেখিয়ে দিলেন বাংলাদেশের স্কোয়াডে স্পিনারও যে আছেন বেশ কয়েকজন।
শীর্ষ ক্রিকেটারদের ছাড়া বাংলাদেশে খেলতে আসা ক্যারিবিয়ানদের মূল চিন্তা বাংলাদেশের স্পিন শক্তি নিয়ে। খেলতে এসে এরমধ্যে একাধিকবার এটা চিহ্নিতও করেছে তারা।
শনিবার ১৮ জনের দলে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা দুজনসহ ছয় পেসার নিয়ে দল দেয় বিসিবি। রোববার অনুশীলন শেষে এই প্রসঙ্গ উঠলে সিমন্স দেখিয়ে দেন বিশেষজ্ঞ চার স্পিনারও দলে রেখেছে বাংলাদেশ, ‘আমার মনে হয় এরমধ্যেও তারা চারজন স্পিনার রেখেছে। হয়ত দুই-তিনজন পেসার খেলাতে পারে। এরমানে হচ্ছে উইকেটটা অনেক ভাল আশা করা যাচ্ছে। ব্যাটিং উইকেট হতে পারে। বলা যায় না তাদের দিক থেকে ভাল পরিকল্পনা হতে পারে। কিন্তু যেটা বললাম তাদের দলে এখনো চারজন স্পিনারও কিন্তু আছে।’
বাংলাদেশ দলে অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসানের সঙ্গে আছেন মেহেদি হাসান মিরাজ, শেখ মেহেদি হাসান ও তাইজুল ইসলাম। অর্থাৎ দুজন করে বাঁহাতি আর অফ স্পিনারের সমাবেশ।
এছাড়াও অনিয়মিত অফ স্পিনার হিসেবে কাজে লাগানোর মতো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। এরমধ্যে অনেকেই অলরাউন্ডার হওয়াও একাদশে সমন্বয় করাটাও বেশ সহজ।
সিমন্স এই জায়গার দিকে ইঙ্গিত করেই জানালেন সব সামলে নেওয়ার আশাবাদ, ‘চার বা পাঁচ স্পিনার খেলালেও আমি আমি আশা করব সব কিছু যেন আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। কারণ আন্ডারডগ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। কাজেই তারা কাদের খেলালো তারচেয়ে নিজেদের নিয়েই ভাবা ভালো।’
সোমবার ওয়ানডে সিরিজের আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে সফরকারীরা। বিকেএসপিতে নিজেরা দুদলে ভাগ হয়ে খেলবে ম্যাচ। এই ম্যাচ থেকেই একাদশের পুরো ধারনা পাওয়ার কথা জানান সিমন্স, ‘দেখার চেষ্টা করব এ কদিন আমরা কী অনুশীলন করলাম। ফিল্ডিং অনুযায়ী বোলাররা বল করতে পারল কিনা, ব্যাটসম্যানরা খেলতে পারল কিনা।’
‘সেরা একাদশ মোটামুটি বুঝে ফেলেছি। অনুশীলন ম্যাচের পর একদম পরিষ্কার হয়ে যাব।’
Comments