জীবনের সবচেয়ে বড় মুহূর্ত : পান্ত
অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন দুর্গের পতন ঘটিয়ে ভারত যে রূপকথা রচনা করল, তাতে অগ্রণী ভূমিকা রাখলেন রিশভ পান্ত। তার ব্যাটে চড়ে শেষ সেশনে ১৪৫ রানের সমীকরণ মিলিয়ে বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের ট্রফি ধরে রাখল ভারত। ম্যাচসেরার পুরস্কার পাওয়ার পর তরুণ এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান জানালেন, তার সামর্থ্যের উপর সবসময়ই আস্থা রেখে আসছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। তার প্রতিদান দিয়ে গড়লেন ইতিহাস, পেলেন জীবনের সেরা মুহূর্ত।
মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চার টেস্টের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে ভারত। শেষ টেস্টের ফয়সালা হয়েছে শেষ দিনের শেষ ঘণ্টার রোমাঞ্চে। ৭ উইকেটে ৩২৯ রান তুলে স্বাগতিকদের এমন এক স্বাদ দিয়েছে আজিঙ্কা রাহানের দল, যা তারা প্রায় ভুলতে বসেছিল। ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার সবশেষ হারটি ছিল ১৯৮৮ সালে। এরপর ৩২ বছর তারা গ্যাবায় ছিল অপরাজিত। এই মাঠে রান তাড়ার আগের রেকর্ডটিকেও বিশাল ব্যবধানে পেছনে ফেলেছে ভারতীয়রা। ১৯৫১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৩৬ রান তুলে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া।
শেষদিনে ভারতের দরকার ছিল ৩২৪ রান। শুবমান গিলের দুর্দান্ত ইনিংস, চেতেশ্বর পূজারার চোয়ালবদ্ধ দৃঢ়তার পর পান্ত আগ্রাসন চালান অজি বোলারদের উপর। ১৩৮ বলে ৮৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ৯ চার ও ১ ছয়। ১০০ বলে ফিফটি ছোঁয়া এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান পরের ৩৯ রান যোগ করেন ৩৮ বলে।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পান্ত বলেন, ‘এটা এখন আমার জীবনের সবচেয়ে বড় মুহূর্তের একটি। আমি ভীষণ খুশি। কারণ, সকল সাপোর্ট স্টাফ ও আমার সতীর্থরা আমাকে সবসময় সমর্থন করে। এমনকি আমি যখন খেলি না, তখনও।’
দলের সংশ্লিষ্ট সবার আস্থার প্রতিদান দিতে পারায় তৃপ্তি ঝরে তার কণ্ঠে, ‘এটা আমার জন্য স্বপ্নের একটি সিরিজ। টিম ম্যানেজমেন্ট সবসময় আমাকে পেছন থেকে সমর্থন যোগায়। তারা আমাকে বলে যে, আমি একজন ম্যাচ উইনার এবং আমাকে মাঠে গিয়ে দলকে জেতাতে হবে। আমি প্রতিদিনই ভাবি, আমি ভারতকে ম্যাচ জেতাতে চাই। আর আজ (মঙ্গলবার) আমি সেটা করতে পেরেছি।’
স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিং করা পান্ত জানান, উইকেট মোটেও সহজ ছিল না, ‘এটা ছিল পঞ্চম দিনের পিচ। আর বলও বেশ ভালো টার্ন করছিল। আমি তখন চিন্তা করছিলাম, শট নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাকে আরও সুশৃঙ্খল হতে হবে।’
Comments