শীর্ষ খবর

বিচারহীনতা, জবাবদিহিতা, সুশাসনের অভাবে ধর্ষক তৈরি হচ্ছে: শাহীন আনাম

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেছেন, ‘ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার কম হওয়ায় আমাদের সমাজে ৯৯ শতাংশ ধর্ষকই মনে করে, অপরাধ করে সে পার পেয়ে যাবে। একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটার পর পরই সবাই ধর্ষকের ফাঁসির দাবি করে। কিন্তু ফাঁসিই একমাত্র সমাধান নয়। প্রত্যেক অপরাধীকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।’
ছবি সৌজন্য: ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেছেন, ‘ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার কম হওয়ায় আমাদের সমাজে ৯৯ শতাংশ ধর্ষকই মনে করে, অপরাধ করে সে পার পেয়ে যাবে। একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটার পর পরই সবাই ধর্ষকের ফাঁসির দাবি করে। কিন্তু ফাঁসিই একমাত্র সমাধান নয়। প্রত্যেক অপরাধীকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।’

বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসনের অভাবে সমাজে ধর্ষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে ঢাকার কলাবাগানে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার প্রসঙ্গে শাহীন আনাম বলেন, আমাদের সমাজে অপরাধীকে বাঁচানোর একটা চেষ্টা চলে, যারা প্রশ্ন তুলে মেয়েটি সেখানে কেন গিয়েছিল তাদের বলতে চাই মেয়েটি কি সেখানে ইচ্ছা করে মরতে গিয়েছিল?

আজ রাজধানীর এফডিসিতে ‘দিহানদের অবক্ষয়ের জন্য অভিভাবকদের দায়’ নিয়ে এক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহীন আনাম এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

কলাবাগানে শিক্ষার্থী হত্যার ন্যায়বিচার না পাবার আশঙ্কা প্রকাশ করে শাহীন আনাম দিহানের পক্ষ নিয়ে তার মায়ের বক্তব্যের নিন্দা জানান। তিনি বলেন, ‘কলাবাগানের ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথাকথিত ধর্মান্ধরা যেভাবে মেয়েটিকে নিয়ে প্রশ্ন তুলছে এটা ন্যায় বিচারকে ব্যাহত করবে। নিপীড়নবিরোধী সামাজিক আন্দোলন জোরদার করার মাধ্যমে আমাদেরকে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। প্রত্যেক বাবা-মাকে খেয়াল রাখতে হবে তার সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কী করছে, কোন বন্ধুদের সঙ্গে মিশছে।’

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, আজকাল কিছু কিশোর-কিশোরীরা আধুনিকতার নামে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে।

‘অভিভাবকদের উদাসীনতা, বাবা-মায়ের অতি আদর, নৈতিক শিক্ষার অভাব, শিথিল সামাজিক বন্ধন, মাদকের সহজলভ্যতা, তথ্য প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহার, সুশাসনের ঘাটতি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ইত্যাদি কিশোর অপরাধ বৃদ্ধি করছে। উঠতি বয়সের কিশোরদের কেউ কেউ তাদের প্রভাব প্রতিপত্তি প্রদর্শন করতে গিয়ে নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে,’ উল্লেখ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

After OCs, EC orders to transfer UNOs

In the first phase, it asked to transfer all UNOs who have been working in their respective upazilas for more than a year

1h ago