১২ ঘণ্টা পর শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশার কারণে ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর চালু হয়েছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ফেরি চলাচল পুনরায় শুরু হয়।
এর আগে, গতকাল রাত সাড়ে ৯টা থেকে থেকে আজ সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে আটকা পড়েছে ছয় শতাধিক যানবাহন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।
ঘাটে আটকা পড়া যাত্রী হালিম হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ঢাকা থেকে রাতের গাড়িতে বরিশালে যাওয়ার জন্য রওনা করি। রাত ১০টার সময় বাস ঘাটে এসে লাইনে আটকা পড়ে। এরপর টানা ১২ ঘণ্টা বাসের মধ্যে। একদিকে তীব্র শীত, অন্যদিকে দুর্ভোগ।’
তাহমিনা আক্তার নামে এক যাত্রী জানান, কুয়াশার কারণে কোনো নৌযান চলছিল না। ঘাটে যানবাহনের সঙ্গে মানুষের চাপ বেড়েই চলছিল। নৌযান চালু হলে মানুষের প্রচণ্ড ভিড় ছিল। এমন ভিড় সামলে পদ্মা পাড়ি দেওয়া অনেক কষ্টের।
পণ্যবাহী ট্রাকের চালক আক্তার হোসেন জানান, রাত থেকে টার্মিনালে আছেন তিনি। অন্য জায়গার চেয়ে ঘাটে শীত তুলনামূলক অনেক বেশি। শীতের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা টার্মিনালে বসে থেকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ম্যারিন ম্যানেজার আহমেদ আলী বলেন, ‘গতকাল রাত ৯টার পর থেকে ঘাট এলাকায় কুয়াশা পড়তে শুরু করে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার মাত্রাও বাড়তে থাকে। কুয়াশার পরিমাণ ভয়াবহ বেড়ে গেলে নৌপথের দিকনির্দেশনামূলক বাতি অস্পষ্ট হয়ে আসে। সে সময় পদ্মা নদীতে দিক নির্ণয়ে ব্যর্থ হয় ফেরিগুলো। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে রাত সাড়ে ৯টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এ সময় চলাচলরত তিনটি ফেরি পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে নোঙর করে থাকে। তবে, কুয়াশা কমলে ১৫টি ফেরির মাধ্যমে পুনরায় পারাপার শুরু হয়েছে।’
Comments