শ্রীপুরে উপজেলা বিএনপির মঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগ
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন উপলক্ষে শ্রীপুরের মুলাইদ মডেল একাডেমি মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার রাতের কোনো এক সময়ে কে বা কারা তা ভেঙে দিয়েছেন বলে অয়োজকদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহান ফকির দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আগে থেকেই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সভা আহ্বান করা হয়। ওই সভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক মিলন প্রধান অতিথি ও সদস্য সচিব কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু, রোববার দিনগত রাতে কে বা কারা মঞ্চ ভাঙচুর ও কুপিয়েছে তা চিহ্নিত করা যায়নি। আমরা সোমবার সকালে ঘটনা জেনে কর্মসূচি বাতিল করেছি। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কায়সার মৃধা খোকন জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় কয়েকজন কর্মী নিয়ে তিনি ব্যানার সাঁটাতে গিয়ে প্যান্ডেলের বাঁশ নামানো, মঞ্চ ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পান।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ স্বাস্থ্য-বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ঘটনা শুনে আজ সকালে আশপাশের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হন। পরে সকাল আটটার দিকে জেলা গোয়েন্দা ও শ্রীপুর থানা পুলিশের সদস্যরা নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দেন।’
মুলাইদ মডেল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা মকবুল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘মহামারি করোনাকালে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় মাঠটি বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনের লোকজন নানা কর্মসূচিতে অনুমতি সাপেক্ষে ব্যবহার করেন। বিএনপি নেতারাও আমার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে প্যান্ডেল নির্মাণ করেছিলেন। তবে, প্রশাসনিক অনুমতি ছিল কি না, তা আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সভার কোনো পূর্বানুমতি না থাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সেখানে কোনো সভার অনুমতি কেউ নেয়নি এবং এ বিষয়ে পুলিশ অবগত ছিল না। প্যান্ডেল ভাঙচুরের কোনো অভিযোগও কেউ করেনি।
Comments