আকস্মিক ধর্মঘটে ঢাকা-বরিশাল লঞ্চ চলাচল বন্ধ

লঞ্চ দুর্ঘটনার মামলায় মেরিন আদালতে দুই শ্রমিকের জামিন বাতিলের প্রতিবাদে সারাদেশে নৌযান ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন শ্রমিকরা। ধর্মঘটে দুপুর থেকে বরিশালের সঙ্গে ঢাকার লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে আগাম টিকিট করে রাখা যাত্রীরা ব্যাপক বিড়ম্বনায় পড়েছেন।
বরিশাল বন্দরের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, লঞ্চের মাস্টার জামাল হোসেন ও রুহুল আমিনকে কারাগারে পাঠানোয় নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘট ডেকেছে।
তিনি জানান, এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুরের কাছে। বিআইডব্লিউটিএ তদন্ত করে দুই লঞ্চের মাস্টারের অবহেলা খুঁজে পায়। রিভার ট্রাফিক পরিদর্শক কীর হোসেন ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় মেরিন কোর্টে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
দুই লঞ্চ মাস্টার সোমবার সকালে মেরিন কোর্টে হাজিরা দিতে এলে আদালত জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠান। জামিন বাতিলের খবর বরিশালে পৌঁছালে বন্দরে নোঙর করা ঢাকাগামী লঞ্চের শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। বরিশাল নৌ-বন্দরের বাঁধা লঞ্চগুলো পন্টুন থেকে সরিয়ে তারা কীর্তনখোলা নদীর অপর পাশে চরকাউয়া নামক জায়গায় নোঙর করে রেখেছেন।
বরিশাল নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাস্টার আবুল হাসেম বলেন, রাতে মেঘনায় ঘন কুয়াশায় একই প্রতিষ্ঠানের দুটি লঞ্চের সংঘর্ষের ওই ঘটনায় কোনো যাত্রীর ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবুও দুই লঞ্চের মাস্টারসহ চার জনের সনদ চার মাসের জন্য জব্দ করে রাখা হয়। আজ তাদের কারাগারে পাঠানো হলো।
এই শ্রমিক নেতার দাবি, সংগঠন থেকে ধর্মঘট ডাকা হয়নি। শ্রমিকরা তাদের সহকর্মীদের মুক্তির দাবিতে কর্ম-বিরতি পালন করেছে।
বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, শুধু বরিশাল নয় শ্রমিকরা ঢাকা থেকেও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছেন। আমরা লঞ্চ চালাতে চাইলেও শ্রমিকদের কাছে জিম্মি। দ্রুত ধর্মঘট প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান করছি।
Comments