‘নৌকার বিরোধীতাকারীই নৌকার মাঝি’

পিরোজপুর জেলা পরিষদ ও নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরোধীতাকারীই স্বরূপকাঠি পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার মাঝি হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন নেছারাবাদ উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ।
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুর জেলা পরিষদ ও নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরোধীতাকারীই স্বরূপকাঠি পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার মাঝি হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন নেছারাবাদ উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ।

আজ সোমবার দুপুরে নেছারাবাদ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলীয় নেতাকর্মীরা এ অভিযোগ করেন।

এর আগে গত শনিবার আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. গোলাম কবির এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি অংশ তাকে অসহযোগিতা করছেন।

এর প্রতিবাদে আজ উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম সিকদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহ আলম, নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এস এম মুইদুল ইসলাম, উপজেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম ফায়েজ।

বক্তারা দাবি করেন, শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে গোলাম কবির তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন তা ভিত্তিহীন। তারা বলেন, যেহেতু তিনি বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিরোধিতা করেছেন, তাই তার মধ্যেও একটি আতঙ্ক কাজ করছে। তাদের দাবি, আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীরা নৌকা প্রতীকের জন্য কাজ করছেন।

সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহ আলম বলেন, ‘গোলাম কবির তাদের নির্বাচনী কোন কাজেই ডাকেন না। তারপরও তারা তাদের সাধ্যমত নৌকা প্রতীকের জন্য কাজ করছেন।’

তবে, গোলাম কবির তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘তিনি কখনোই নৌকা প্রতীকের বিরোধিতা করেন নাই। বরং উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি অংশ তাকে নির্বাচনে কোন সহযোগিতা করছে না।'

গত শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে গোলাম কবির অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগ থেকে ৯ জন নৌকা প্রতীক চেয়েছিলেন। দল তাকে মনোনয়ন দেওয়ার পর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছাড়া মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অন্য কেউ তাকে সহযোগিতা করছেন না। বরং, তাদের মধ্যে দুই জন মেয়র পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন এবং অন্যরা তাদেরকে সহযোগিতা করছেন।’

তার দাবি তিনি সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহ আলমসহ সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম মুইদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রনি দত্তের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু, তাদের কেউই তাকে নির্বাচনে কোন সহযোগিতা করছেন না।

Comments

The Daily Star  | English
Gazipur factory fire September 2024

Column by Mahfuz Anam: Business community's voice needed in the interim government

It is necessary for keeping the wheels of growth running and attracting foreign investment in the new Bangladesh.

10h ago