‘নতুন শীতল যুদ্ধের’ হুঁশিয়ারি দিলেন শি জিনপিং

জো বাইডেন বা যুক্তরাষ্টের নাম উচ্চারণ না করেই ‘নতুন শীতল যুদ্ধের’ সতর্কবার্তা দিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
Xi Jinping
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং | এএফপির ফাইল ফটো

জো বাইডেন বা যুক্তরাষ্টের নাম উচ্চারণ না করেই ‘নতুন শীতল যুদ্ধের’ সতর্কবার্তা দিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

বললেন, ‘নিজেদের মধ্যে ছোট জোট করলে, নতুন শীতল যুদ্ধ শুরু করলে, (অন্যের মত) প্রত্যাখ্যান করলে, (কাউকে) হুমকি দিলে বা ভয় দেখালে, ইচ্ছাকৃতভাবে অবরোধ আরোপ করলে, পণ্য সরবরাহে বাধা দিলে অথবা কাউকে বিচ্ছিন্ন করে রাখলে তা পৃথিবীকে বিভেদের দিকে ঠেলে দিবে। এমনকি, সংঘাতের দিকেও ঠেলে দিতে পারে।’

ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান’র এক প্রতিবেদনে গতকাল সোমবার বলা হয়েছে, ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামে চীনের প্রেসিডেন্ট শি তার ভার্চুয়াল বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেছেন।

সংবাদ প্রতিবেদেন মতে, বাইডেন বা যুক্তরাষ্ট্রের নাম উচ্চারণ না করলেও শি এ কথা বোঝাতে চেয়েছেন যে বেইজিং কোনভাবেই ওয়াশিংটনের নির্দেশ মোতাবেক চলবে না।

শি আরও বলেছেন, ‘কোনো বৈশ্বিক সমস্যা কোনো দেশ এককভাবে সমাধান করতে পারে না। সবার প্রচেষ্টা ও সহযোগিতার মাধ্যমে তা সমাধান করতে হবে।’

‘আমাদের উচিত একটি মুক্ত বিশ্ব অর্থনীতি গড়ে তোলা। একটি বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বৈষম্যমূলক ও অন্তর্মুখী ব্যবস্থা বা নিয়মনীতি বাদ দেওয়া উচিত। বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি আদানপ্রদানের বাধাগুলো তুলে দেওয়া উচিত,’ যোগ করেন চীনের প্রেসিডেন্ট।

তিনি আরও বলেছেন, চীন তার মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে সমালোচনায় ভীত নয়।

তার মতে, ‘প্রতিটি দেশ তার নিজস্ব ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সামাজিক ব্যবস্থা নিয়ে অন্যের থেকে আলাদা। কেউ কারো চেয়ে বড় নয়।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘যথাযথ নিয়ম মেনে এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের সম্পর্ক বজায় রাখা উচিত। দুর্বলের ওপর ক্ষমতার দাপট দেখানো উচিত না। পেশীশক্তির ভিত্তিতে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত না।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেন এখনো তার উত্তরসূরী ট্রাম্পের চীননীতি শিথিল করা কোনো ইঙ্গিত দেননি। অন্যদিকে, তিনি আমেরিকার অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে ‘আমেরিকার পণ্য’ কিনুন— এমন ক্রয়নীতির নির্বাহী আদেশে সই করেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago