দুদকের ১০ বছরের তদন্তে 'সরল বিশ্বাসে' ভুলের শিকার কামরুল

নোয়াখালীর সুধারামপুর থানার পশ্চিম রাজারামপুর গ্রামের কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জালিয়াতি মামলার তদন্তে পূর্ব রাজারামপুর গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ায়, হাইকোর্টে 'ভুল' স্বীকার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নোয়াখালীর সুধারামপুর থানার পশ্চিম রাজারামপুর গ্রামের কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জালিয়াতি মামলার তদন্তে পূর্ব রাজারামপুর গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ায়, হাইকোর্টে 'ভুল' স্বীকার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

হয়রানি বা গ্রেপ্তার থেকে প্রতিকার চেয়ে মোহাম্মদ কামরুল ইসলামের একটি রিট আবেদনের শুনানি চলাকালে গত রবিবার দুদক 'সরল বিশ্বাসে কৃত ভুলের' জন্য দুঃখ প্রকাশ করে হাইকোর্টে একটি বিবৃতি জমা দেয়।

গতকাল সোমবার বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রিট আবেদনের রায় দিতে আগামী বৃহস্পতিবার তারিখ নির্ধারণ করেছেন।

রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী আজ মঙ্গলবার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ২০০৩ সালে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো'র অভিযোগের ভিত্তিতে সুধারামপুর থানায় পশ্চিম রাজারামপুরের আবুল খায়ের ও ফাতেমা বেগমের ছেলে মোহাম্মদ কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ভুয়া এসএসসি সার্টিফিকেট ও মার্কশিট দিয়ে কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ায় ওই মামলা করা হয়েছিল।       

এক দশক পর, ২০১৩ সালে দুদক পূর্ব রাজারামপুরের আবুল খায়ের ও রওশন আরা বেগমের ছেলে নির্দোষ মোহাম্মদ কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

২০১৪ সালে দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালত পূর্ব রাজারামপুরের মোহাম্মদ কামরুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং মামলায় তিনটি ধারার প্রত্যেকটিতে তাকে পাঁচ বছর করে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেন। তাকে গ্রেপ্তারে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী জানান, দুই কামরুল ইসলামের কাগজপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে গত বছর নভেম্বরে হাইকোর্ট বেঞ্চে একটি রিট আবেদন করা হয়। আবেদনে নির্দোষ মোহাম্মদ কামরুল ইসলামকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক হয়রানির বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ চাওয়া হয়।

গত বছর ৫ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ একটি রুল জারি করে মোহাম্মদ কামরুল ইসলামকে হয়রানি বা গ্রেপ্তার না করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে একটি রুল জারি করেন।   

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মামলার তদন্তে সরল বিশ্বাসে কৃত ভুলের জন্য দুদক হাইকোর্টের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এ ঘটনায় দুদকের কোনও অনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago