ভোট গ্রহণ চলছে: ককটেল বিস্ফোরণ, সংঘর্ষ
ককটেল বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন শুরু হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে আমাদের সংবাদদাতা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আজ সকালে বন্দর নগরীর জালালাবাদ, পাঠানটুলি, পশ্চিম বাকুলিয়া, ফিরিঙ্গিবাজার ও লালখান বাজার এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
সকাল ৮টায় নির্বাচন শুরু হলে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসতে শুরু করেন। ভোট গ্রহণ শুরুর সময় ককটেল বিস্ফোরণ হলে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়ে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের পাশাপাশি শহীদনগর সিটি করপোরেশন গার্লস হাইস্কুলের সামনে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীদের সমর্থকদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়েছে বলে আমাদের সংবাদদাতা জানিয়েছেন।
সেসময় সেখানে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের শুধুমাত্র হুইসেল বাজানো ছাড়া আর কোনো ভূমিকা রাখতে দেখা যায়নি বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
শহীদনগর সিটি করপোরেশন গার্লস হাইস্কুলে ভোট দিতে এসে এক নারী ভোটার অভিযোগ করেছেন যে তার ভোট পোলিং এজেন্ট জোর করে দিয়ে দিয়েছেন। তার এ অভিযোগ কোনো পোলিং অফিসার আমলে নেননি বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে প্রিসাইডিং অফিসার তার ব্যস্ততার কথা বলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিএনপির পোলিং এজেন্টরা অভিযোগ করেছেন যে তাদেরকে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র থেকে জোর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। এসব কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে শাহ ওয়ালিউল্লাহ ইনস্টিটিউট, সালেহ জহুর বিদ্যালয়, খাস্তগীর বিদ্যালয় ও ন্যাশনাল প্রাইমারি স্কুল।
আমাদের সংবাদদাতা জানিয়েছেন, আসাদগঞ্জ সোবহানিয়া আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
Comments