চট্টগ্রামে নির্বাচনের নামে তামাশা হচ্ছে, সংসদে বিএনপি
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি ও জাতীয় পার্টির একাধিক সদস্য। আজ বুধবার দ্য সিভিল কোর্টস (অ্যামেন্ডমেন্ট), ২০২১ সংসদে পাসের সময় বিলটি নিয়ে জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব তোলেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।
তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী, সব পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা প্রশাসন চালাবেন। কিন্তু আজ কী হচ্ছে? নির্বাচনের নামে তামাশা হচ্ছে, প্রহসন হচ্ছে। এর কোনো দরকার ছিল না। সকাল থেকে দেখা যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কী হচ্ছে।’
ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যরা প্রতিবাদ জানালে হারুনুর রশীদ বলেন, ‘আমি মোটেই অসত্য বলছি না। আমি সত্যি জেনে বলছি।’
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘তারা নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে, আমরা জিয়াউর রহমানের হ্যাঁ-না ভোট দেখেছি। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন দেখেছি। সে সময় ব্যালট বাকশো পাওয়া যেত না। ভোট যে দেবে, ব্যালট বাক্স নেই। যাদের এই চরিত্র, তাদের কাছ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন কীভাবে করতে হয়, সেটা শেখার প্রয়োজন নেই। আমরা জনগণকে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি।’
বিএনপি’র আরেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা অভিযোগ করেন, ‘জনগণ সাক্ষী আছে, প্রশাসনের লোকজন ভোট দিয়েছে। কারও কাছ থেকে ভোট শিখতে হবে না। ভোট কীভাবে দিতে হয়, সবাই জানে। ভোট দেওয়ার সুযোগ দিলেই হয়।’
এর আগে দেওয়ানি মামলার জট কমাতে আদালতের আর্থিক এখতিয়ার বাড়িয়ে আইন সংশোধনে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত বিল পাস হয়। এতে সহকারী জজ-এর আর্থিক এখতিয়ার দুই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ লাখ, সিনিয়র সহকারী জজ-এর আর্থিক এখতিয়ার চার লাখ টাকা থেকে ২৫ লাখ এবং আপিল শুনানির ক্ষেত্রে জেলা জজ-এর আর্থিক এখতিয়ার পাঁচ লাখ থেকে বাড়িয়ে পাঁচ কোটি টাকা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অনধিক পাঁচ কোটি টাকা মূল্যমানের মূল মোকদ্দমায় যুগ্ম জেলা জজের দেওয়া ডিক্রি বা আদেশ থেকে উদ্ভূত হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন কোনো আপিল বা কার্যক্রম জেলা জজ আদালতে স্থানান্তরের বিধান রাখা হয়েছে।
সেই সঙ্গে জেলা জজের আপিল শুনানির বৃদ্ধি করা আর্থিক এখতিয়ার একই রেখে দ্য সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট, ১৮৮৭ এর ২১ ধারাকে প্রতিস্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। যুগ্ম জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন অনুর্ধ্ব ২৫ লাখ টাকা মূল্যমানের মোকদ্দমা উপযুক্ত এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতে স্থানান্তরের বিধান রাখা হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে যেসব মামলা হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন, সেগুলোর কার্যক্রম জেলা আদালতে স্থানান্তরিত হবে না।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম, মুজিবুল হক, পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বেগম রওশন আরা মান্নান, বিএনপি’র সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ, রুমীন ফারহানা, গণফোরামের মোকাব্বির খান এবং স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু সংশোধনী প্রস্তাব দিলে তা কন্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়।
Comments