জাতীয় দলের নতুন নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক

বাঁহাতি স্পিন দিয়ে বাংলাদেশকে অনেক সাফল্য এনে দেওয়া আব্দুর রাজ্জাককে নতুন নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমনের সঙ্গে তৃতীয় সদস্য হিসেবে যোগ দিতে যাচ্ছেন তিনি।
নির্বাচক হিসেবে নিজের নিয়োগের কথা দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেন রাজ্জাক নিজেই। বুধবার বোর্ড পরিচালকদের ভার্চুয়াল সভায় নেওয়া হয় এই সিদ্ধান্ত।
জাতীয় দলের নির্বাচক কমিটিতে অনেকদিন থেকেই একটা জায়গা ফাঁকা ছিল। ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক অবসরে যাওয়ার আগেই এই জায়গা পেলেন ৩৮ পেরুনো রাজ্জাক। সাংঘর্ষিক হওয়ায় নিশ্চিতভাবেই তাকে আর ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে দেখার সম্ভাবনা নেই।
নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় রাজ্জাক জানান বাংলাদেশের বাস্তবতা মাথায় নিয়েই নতুন দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত তিনি, ‘যেটা সত্যি কথা দায়িত্ব অনেক বড়। তবে খেললে যে দায়িত্ব থাকে তার চাইতে অন্য কোন দায়িত্ব বড় না। যখন দেশের হয়ে খেলবেন সে দায়িত্ব অনেক বড়। সেই দায়িত্ব এক রকম, এই দায়িত্ব আরেক রকম। আমি চেষ্টা করব নিজের দায়িত্ব পালন করতে।’
‘প্রত্যেকটা জায়গায় চাপ থাকবে। নির্বাচক কমিটিতে তো থাকবেই। যেহেতু জাতীয় দল। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে ক্রিকেট। খুব স্বাভাবিকভাবে এখানে সবার চোখ থাকে। সবার চোখ থাকলে যেটা হয় সবার ভাবনার সঙ্গে মিলবে না। এসব মাথায় রেখেই কাজ করে যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।’
বাংলাদেশের হয়ে তিন সংস্করণেই খেলেছেন রাজ্জাক। তবে সবচেয়ে বেশি খেলেছেন ওয়ানডে, এই সংস্করণে দলের সেরা বোলারদের একজন ছিলেন তিনি। ১৫৩ ওয়ানডে খেলে ২০৭ উইকেট তার। মাশরাফি মর্তুজা ও সাকিব আল হাসানের পর যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। ৩৪ টি-টোয়েন্টিতে রাজ্জাকের আছে ৪৪ উইকেট। ১৩ টেস্ট খেলে নিয়েছেন ২৮ উইকেট।
ওয়ানডেতে সফল হলেও এই সংস্করণে ২০১৪ সালের পর আর তাকে দেখা যায়নি। ঘরোয়া ক্রিকেটে সফল হলেও কিছুটা বিতর্কিতভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দূরে রাখা হয় অভিজ্ঞ স্পিনারকে। রাজ্জাক সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন ২০১৮ সালে। প্রথম শ্রেণীতে ৬৩৪ উইকেট নেওয়া এই স্পিনারকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে আকস্মিকভাবে টেস্ট দলে ডেকে নেওয়া হয়েছিল। এক ইনিংসে ৪ উইকেট (ম্যাচে ৫ উইকেট) নিলেও পরে আর ডাক পাননি।
Comments