গিল-পান্তের মতোই সাহস দেখাতে জানেন এই ক্যারিবিয়ান

এই কিছুদিন আগের কথা। শেষ দিনে যখন ম্যাচ বাঁচানোই কঠিন, সেখানে অবিশ্বাস্য সাহসী ব্যাটিং করে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছিলেন রিশাভ পান্ত। অবশ্য জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন শুভমান গিল। তাদের দৃঢ়তায় অস্ট্রেলিয়া থেকে অবিস্মরণীয় জয় নিয়ে দেশে ফেরে ভারতীয়রা। ক্রিকেট বিশ্বে তাদের সাহস নিয়ে প্রশংসার ঝড় উঠে যায়।
ছবি: সংগৃহীত

এইতো কিছুদিন আগের কথা। শেষ দিনে যখন ম্যাচ বাঁচানোই কঠিন, সেখানে অবিশ্বাস্য সাহসী ব্যাটিং করে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছিলেন রিশাভ পান্ত। অবশ্য জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন শুভমান গিল। তাদের দৃঢ়তায় অস্ট্রেলিয়া থেকে অবিস্মরণীয় জয় নিয়ে দেশে ফেরে ভারতীয়রা। ক্রিকেট বিশ্বে তাদের সাহস নিয়ে প্রশংসার ঝড় উঠে যায়।

ঠিক প্রায় একই ধরণের একটি ম্যাচ মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে স্থগিত ক্রিকেট ফের চালু হওয়ার প্রথম টেস্টেই উইন্ডিজকে এনে দিয়েছিলেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড। সাউদাম্পটনে ইংলিশদের বিপক্ষে শেষ দিনে অসাধারণ দৃঢ়তা দেখিয়েছিলেন তিনি। সাহসী মানসিকতায় কোনো অর্থেই গিল-পান্তদের চেয়ে কম যান না এ ক্যারিবিয়ান।

আর তাদের সঙ্গে নিজের মিল আছে তা বললেন ব্ল্যাকউডও, 'আমি ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার সিরিজটা অনুসরণ করছিলাম। চতুর্থ ইনিংসে যখন এক ঘণ্টা বাকী তখন আমি নিজেকে বলেছিলাম ওই রিশাভ পান্ত যদি উইকেটে থাকে তাহলে ভারত ম্যাচটি জিততে যাচ্ছে। আমার মনে হয় আমাদের ব্যাটিং স্টাইল একই ধরণের। সে স্কোর করতে পছন্দ করে এবং বোলারদের চাপে ফেলতে চায়। আমিও একই ঢঙ্গে ব্যাট করি।' 

গিলের সঙ্গে এ নিয়ে প্রায়ই কথা হয় বলেও জানান এ ক্যারিবিয়ান, 'আমি রিশাভ পান্ত ও শুভমান গিলকে চিনি। আমার এবং গিলের মধ্যে ইনস্টাগ্রামে প্রায়ই কথা হয়। আমি তাদের ব্যক্তিগতভাবে চিনি। আমি গিলের বিপক্ষে ক্যারিবিয়ান এ দলের একটি সিরিজে খেলেছিলাম। আমরা কথা বলি এবং সে দারুণ একজন মানুষ। ভারতের একজন ভবিষ্যৎ তারকা অবশ্যই।'

বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছে উইন্ডিজ দল। দলের সঙ্গে আছেন ব্ল্যাকউড। কদিন আগেই ওয়ানডে সিরিজে টাইগারদের কাছে নাস্তানুবাদ হয়েছে তার দল। তিনটি ম্যাচেই হেরেছে তারা। এবার টেস্ট সিরিজে মোকাবেলা করবে দল দুটি। নিঃসন্দেহে ব্ল্যাকউড বাংলাদেশের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারেন।

আর বাংলাদেশেও যে একই মানসিকতায় খেলা প্রত্যয় প্রকাশ করেন ব্ল্যাকউড, 'আমি আমার ভূমিকা পরিবর্তন করতে যাচ্ছি না। শেষ দুই সিরিজে, আমি রান করেছি। আমার লক্ষ্য রান করা চালিয়ে যাওয়া, এবং দলের জন্য কিছু ম্যাচ জেতা। আমি মনে করি আমাদের দলটি ভালো। আমি ক্ষুধা দেখতে পাচ্ছি।'

আর নিজের উপর যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস রয়েছে তার, 'আমি দেখতে পাচ্ছি আমরা নতুন কিছু চেষ্টা করতে যাচ্ছি এবং সেটা ভালো কাজ করছে। আমার পূর্ণ আত্মবিশ্বাস রয়েছে যে ব্যাটিং ইউনিট এখানে ভালো করবে। জন ক্যাম্পবেল, ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট, ইয়ং মোসলে, আমি এবং জশ, আমার মনে হয় আমাদের দারুণ ব্যাটিং লাইন আপ আছে। যদি আমরা নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারি তাহলে ভালো সংগ্রহ না করার কোনো কারণ দেখছি না।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi-Americans eager to help build new Bangladesh

July uprising and some thoughts of Bangladeshi-Americans

NRBs gathered in New Jersey showed eagerness to assist in the journey of the new Bangladesh forward.

7h ago