অসাধারণ বোলিংয়ে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন নাসির
ফিটনেসে ঘাটতি থাকায় বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ড্রাফটেই জায়গা হয়নি নাসির হোসেনের। আবুধাবি টি-টেন লিগে তিনি কেবল দলই পাননি, পেয়েছেন পুনে ডেভিলস দলের অধিনায়কত্বও। দেশের বাইরের সেই মিশনে বেশ ভালো শুরু পেয়েছেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। বল হাতে দারুণ করেছেন তিনি। জিতেছে তার দলও।
বৃহস্পতিবার রাতে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে নাসিরের তোপে ১০৪ রান করেছিল ডেকান গ্ল্যাডিয়েটর্স। কেন্নার লুইসের ঝড়ে সেই রান টপকে ৭ উইকেতে জিতেছে পুনে ডেভিলস।
দলকে জেতাতে ৩ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নাসির নিয়েছেন ৩ উইকেট। আর লুইস রান তাড়ায় ওপেন করতে নেমে ২৮ বলে করেছেন অপরাজিত ৫৭ রান।
এদিন ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই বল করতে আসেন নাসির। নিজের দ্বিতীয় বলেই সুনিল নারাইনকে বোল্ড করে দেন তিনি। ওই ওভারে নাসিরের অফ স্পিনে কাবু হয়েছেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ শেহজাদও। ১০ ওভারের খেলায় একজন বোলার করতে পারেন সর্বোচ্চ ২ ওভার। সপ্তম ওভারে আবার আক্রমণে ফিরে উইকেট নেন পুনে অধিনায়ক। তার বলে কেন্নার লুইসের হাতে ধরা পড়েন প্রশান্ত গুপ্তা।
ব্যর্থ হন ডেকান অধিনায়ক কাইরন পোলার্ডও। তাদের পক্ষে ১৩ বলে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন পাকিস্তানের আজম খান।
১০৫ রান তাড়ায় নেমে টম কোহলার কোডমোরকে দ্বিতীয় ওভারেই হারায় পুনে। কিন্তু তিনে নেমে ঝড় তুলেন চ্যাডউইক ওয়ালটন। ১১ বলে ১৮ করে তার বিদায়ের পর দারউইশ রাসুলিও ফিরে যান দ্রুত। কিন্তু পুনেকে পথে রাখেন কেন্নার। ক্যারিবিয়ান এই ব্যাটসম্যান আর আউট হননি। ৩ বাউন্ডারির সঙ্গে ৬ ছক্কা মারেন তিনি। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১১ রান। পোলার্ডের প্রথম দুই বলেই দুই ছক্কায় খেল শেষ করে দেন এই ডানহাতি।
Comments