‘সিনেমা হল বন্ধ করা ছাড়া উপায় থাকবে না’
ঢাকাই চলচ্চিত্র থেকে হতাশার কালো মেঘ যেন সরতে চাইছে না। ২০১৯ সালের শেষে চলচ্চিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকেই বলেছিলেন ২০২০ সালটা হবে সিনেমার বিপ্লবের বছর। কিন্তু, করোনা মহামারি থামিয়ে দিয়েছে সবকিছু। ফলে, চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি একপ্রকার ধ্বংসস্তূপের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে।
২০২০ সালে মুক্তি পেয়েছে ১৫টি চলচ্চিত্র। তবে, করোনা মহামারির কারণে বড় বাজেটের সিনেমা মুক্তি দেওয়ার সাহস পাননি প্রযোজক-পরিচালকরা।
২০২১ সালের জানুয়ারির প্রথম শুক্রবার ‘কেন সন্ত্রাসী’ নামের একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল। আজ নতুন বছরের শেষ শুক্রবারে এসে নতুন কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। নতুন বছরের প্রথম মাসে সিনেমা হল পুরনো সিনেমা দিয়েই সচল রাখতে হয়েছে।
এভাবে চলতে থাকলে সিনেমা হল মালিকরা হল বন্ধের ঘোষণা করবেন বলে দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে জানিয়েছেন হল মালিক ও প্রদর্শক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম শুক্রবার প্রদর্শক সমিতিতে ‘রংবাজি দ্য লাফাঙ্গা’ নামের একটি সিনেমার নিবন্ধন আছে। সিনেমাটি ৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাবে। এটি নির্মাণ করেছেন কমল সরকার। নারায়ণগঞ্জের মেট্রো সিনেমা, ভৈরবের মধুমতি, সিরাজগঞ্জের রজনীগন্ধা, মমতা, মুন্সীগঞ্জের পান্না, ডেমরার রানীমহল, রংপুরের শ্যামলী, পটুয়াখালীর তিতাস হলে সিনেমাটি মুক্তি পাবে বলে ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে।
নতুন সিনেমা মুক্তি না পাওয়ায় পরীমনি-সিয়াম অভিনীত ‘বিশ্বসুন্দরী’ সিনেমাটি কিছু হলে চলছে।
ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলে আজ থেকে চলছে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস অভিনীত ছবি ‘মনে বড় কষ্ট’ সিনেমাটি। আনন্দ সিনেমা হলের ম্যানেজার সালাউদ্দিন দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, ‘গত একমাস পুরনো সিনেমা চলছে হলটিতে। পুরনো ছবি দর্শক টানতে পারছে না। জোর করে হল চালু করা হলো, এখন হলে সিনেমা দেবে কে? হল মালিকরা বিপদে পড়েছেন। প্রতিটি শোতে লোকসান গুণতে হচ্ছে। এভাবে চললে সিনেমা হল বন্ধ করা ছাড়া উপায় থাকবে না।’
Comments