সিলেট বিভাগ প্রাধান্য দেওয়াতেই জাতীয় দলে তারা ৩ জন

বর্তমান বাংলাদেশ দলের পেস বিভাগের অন্যতম প্রধান সদস্য আবু জায়েদ রাহী, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও ইবাদত হোসেন। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে অপরিহার্য এ তিন পেসার। আর তিন জনই উঠে এসেছেন সিলেট থেকে। মূলত সিলেট বিভাগের হয়ে প্রাধান্য পাওয়ার কারণেই এমনটা সম্ভব হয়েছে বলে জানান রাহী।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বর্তমান বাংলাদেশ দলের পেস বিভাগের অন্যতম প্রধান সদস্য আবু জায়েদ রাহী, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও ইবাদত হোসেন। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে অপরিহার্য এ তিন পেসার। আর তিন জনই উঠে এসেছেন সিলেট থেকে। মূলত সিলেট বিভাগের দলে প্রাধান্য পাওয়ার কারণেই এমনটা সম্ভব হয়েছে বলে জানান রাহী।

বেশ কিছু দিন থেকেই টেস্ট দলে নিয়মিত মুখ রাহী ও ইবাদত। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষেও তাদের মূল একাদশে থাকা অনেকটাই নিশ্চিত। খালেদও থাকতে পারতেন তাদের তালিকায়। কিন্তু একের পর এক ইনজুরির কারণে পিছিয়ে গেছেন তিনি। তাই এদিন পরীক্ষায় নামলেন। আর নিশ্চিতভাবে উতরে গেছেন। ক্যারিবিয়ানদের ব্যাটিংয়ে ধস নামানোর মূল কারিগরই ছিলেন তিনি।

তাই পারফরম্যান্সের বিচারে প্রথম টেস্টের একাদশে জায়গা হলে কোনো অংশেই পিছিয়ে থাকবেন না খালেদ। সেক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই স্থানীয় পেসারদের বিপক্ষেই। কারণ বাংলাদেশের উইকেটে বরাবরই সর্বোচ্চ দুই জন পেসার নিয়ে খেলে টাইগাররা। এমনকি এক পেসার নিয়ে খেলারও নজিরও রয়েছে।

তবে একই এলাকার তিন পেসার জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করায় দারুণ খুশি রাহী। মূলত সিলেট বিভাগীয় দল তাদের এগিয়ে যাওয়ার পথটা মসৃণ করেছে। যেখানে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খুব কম সুযোগ পান বাংলাদেশের পেস বোলাররা কিংবা পেলেও বোলিংয়ের পর্যাপ্ত সুযোগ মেলে না। সেখানে সিলেট দলে তাদের তিনজনকেই সুযোগ দেওয়া হয় এবং পর্যাপ্ত বোলিংও করানো হয়।

আর এটাই তাদের সাফল্যের মূলমন্ত্র জানিয়ে সিলেট বিভাগকে ধন্যবাদ জানান রাহী, 'সিলেট বিভাগকে ধন্যবাদ জানাতে হবে আমাদের। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তারা সব সময় আমাদের তিন পেসারকে অনেক মূল্যায়ন করে। অনেক সময় দেখা যায় আমরা তিন পেস বোলার খেলছি এবং বোলিং করছি।'

'আমরা যত বেশি বোলিং করব তত বেশি শিখব। এবাদত, খালেদ আগে যেমন ধরেন ওরা বেশি বোলিং করতে চাইতো না। এখন যেটা হয়েছে আমরা যখন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলি তখন আমরা চাই অনেক বোলিং করতে। নিজেদের ভেতরে একটা প্রতিযোগিতা আছে।' - যোগ করেন রাহী।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নবীন হলেও ঘরোয়ায় তিনজনই বেশ অভিজ্ঞ। তিনজনই দীর্ঘকায়, ফিটনেসে ভীষণ সচেতন। বোলিং দক্ষতায় রাহীর মূল অস্ত্র সুইং করানোর ক্ষমতা। এবাদতের গতি আর গতির সঙ্গে বাউন্স আছে খালেদের মূল অস্ত্র। শেষ কয়েক মৌসুমে একসঙ্গে সিলেট বিভাগের হয়ে খেলায় নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়াও দারুণ তাদের।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এ সময়েও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিয়মিত অনুশীলন করেছেন এ পেসত্রয়ী। তাই ফিটনেস নিয়ে ঘাটতি নেই। দীর্ঘদিন পর সাদা পোশাকে ফিরে মাঠে সেরাটাই দিতে পারবেন বলে বিশ্বাস করেন রাহী। আর পেসাররা ভালো করতে পারলে বাংলাদেশের জন্যও কাজটা সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

9h ago