বিদ্যুৎ থাকবে না, সিলেট ও সুনামগঞ্জে পৌঁছেনি ভ্যাকসিন

দেশের জেলায় জেলায় করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছানো শুরু হয়েছে আজ শুক্রবার থেকে। কিন্তু, আগামীকাল শনিবার পূর্বঘোষিত বিদ্যুৎ বিভ্রাট বিবেচনায় সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় পৌঁছায়নি ভ্যাকসিন।
মৌলভীবাজার জেলায় আজ (শুক্রবার) এসে পৌঁছেছে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন। দুপুরে জেলা ইপিআই ভবনে ভ্যাকসিন গ্রহণ করার পর তা সংরক্ষণ করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

দেশের জেলায় জেলায় করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছানো শুরু হয়েছে আজ শুক্রবার থেকে। কিন্তু, আগামীকাল শনিবার পূর্বঘোষিত বিদ্যুৎ বিভ্রাট বিবেচনায় সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় পৌঁছায়নি ভ্যাকসিন।

তবে, বিভাগের অন্য দুই জেলা মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে ভ্যাকসিন পৌঁছেছে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জনরা।

সিলেটে বিদ্যুৎ সংযোগের উন্নয়ন কাজের জন্য শনিবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সিলেট নগরী, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ও সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় বিদ্যুৎ থাকবে না জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।

সারাদিন বিদ্যুৎ না থাকলে ইপিআই সেন্টারে ভ্যাকসিন সংরক্ষণে সমস্যার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শুক্রবারের পরিবর্তে রোববার সিলেটে ও সুনামগঞ্জে ভ্যাকসিন পৌঁছানো হবে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, সিলেট বিভাগে প্রথম দফায় মোট ৩৭টি কার্টুনে ৪৪ হাজার চারশ ভ্যাকসিন আসবে। এর মধ্যে সিলেট জেলার জন্য ১৯ কার্টুনে ২২ হাজার আটশ ভ্যাকসিন, সুনামগঞ্জের জন্য সাত কার্টুনে আট হাজার চারশ ভ্যাকসিন, মৌলভীবাজারের জন্য পাঁচ কার্টুনে ছয় হাজার ভ্যাকসিন এবং হবিগঞ্জের জন্য ছয় কার্টুনে সাত হাজার দুইশ ভ্যাকসিন।

মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোর্শেদ ও হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. একেএম মোস্তাফিজুর রহমান নিজ নিজ জেলায় ভ্যাকসিন পৌঁছানো এবং এরপর তা ইপিআই সেন্টারে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।

সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে নির্ধারিত কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা। প্রথম পর্যায়ে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সম্মুখসারিতে থাকা ১৫টি শ্রেণীভুক্ত ব্যক্তিদের তালিকাভুক্তির কাজ চলছে।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago