দৈনিক সর্বোচ্চ ৩০ হাজার দর্শক থাকবেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে

australian open
ছবি: টুইটার

গ্যালারিতে বসে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন টেনিস ভক্তরা। দেশটির ভিক্টোরিয়া প্রদেশের ক্রীড়ামন্ত্রী মার্টিন পাকুলা দর্শক প্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দৈনিক সর্বোচ্চ ৩০ হাজার দর্শককে বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম প্রতিযোগিতাটিতে উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম আট দিনে গ্যালারিতে থাকতে পারবেন এই পরিমাণ দর্শক। তবে একসঙ্গে নয়। দিনে ও রাতের সেশনে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে তাদেরকে। আর কোয়ার্টার ফাইনাল পর্ব থেকে দর্শক সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে ২৫ হাজারে, যা গত বছরের দর্শক উপস্থিতির অর্ধেক।

শনিবার প্রতিযোগিতার ভেন্যু মেলবোর্ন পার্কে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকুলা বলেছেন, ‘১৪ দিনে আমরা মোট ৩ লাখ ৯০ হাজার দর্শককে দেখতে পাব, যা বিগত বছরগুলোর শতকরা ৫০ শতাংশের মতো।… এটা আগের মতো নয়। কিন্তু গত অনেক মাসের মধ্যে এটাই হবে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আন্তর্জাতিক ইভেন্ট, যেখানে দর্শক থাকবে।’

মূল সূচি অনুসারে, গত ১৮ জানুয়ারি শুরু হয়ে ৩১ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তিন সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে আসরটি। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে তা চলবে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

চলতি মাসের শুরুর দিকে চার্টার্ড ফ্লাইটে করে খেলোয়াড়, স্টাফ ও অন্যান্যদের মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৭০০ জনকে অস্ট্রেলিয়ায় উড়িয়ে নেওয়া হয়। অধিকাংশ খেলোয়াড় গড়ে দৈনিক সাড়ে ৫ ঘণ্টা করে কেবল হোটেল সংলগ্ন টেনিস কোর্টে গিয়ে অনুশীলনের অনুমতি পান। তবে মেলবোর্নে ৭২ জন খেলোয়াড়ের একটি দলকে কঠোরভাবে আইসোলেশনে রাখা হয়। কারণ, তাদের ফ্লাইটের যাত্রীদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে।

অস্ট্রেলিয়ান সরকারের বেঁধে দেওয়া নিয়মানুসারে, ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন পর্ব শেষে ইতোমধ্যে অনেক খেলোয়াড় হোটেল ছাড়তে শুরু করেছেন। আয়োজকরা জানিয়েছেন, আগামী রবিবারের মধ্যে মেলবোর্ন ও অ্যাডিলেডে অবস্থানরত অন্তত ৫০০ খেলোয়াড় ঘরবন্দি অবস্থা থেকে মুক্তি পাবেন। গতকাল শুক্রবার থেকে নোভাক জোকোভিচ, রাফায়েল নাদাল ও সেরেনা উইলিয়ামসের মতো তারকারা পেয়েছেন বাইরে যাওয়ার অনুমতি।

প্রতিযোগিতা শুরুর মাত্র অল্প কয়েকদিন বাকি থাকায় খেলোয়াড়দের পক্ষে পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। তবে একঘেয়ে জীবনযাপন থেকে পরিত্রাণ পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ উচ্ছ্বসিত তারা। ইতালির ফাবিও ফোনিনি যেমন টুইটারে লিখেছেন, ‘পাখির মতো মুক্ত।’

Comments

The Daily Star  | English

Fuel to Air India jet engines cut off moments before crash: probe

The Dreamliner was headed from Ahmedabad to London when it crashed, killing all but one of the 242 people on board as well as 19 people on the ground

2h ago