দক্ষিণ চীন সাগরকে অস্থিতিশীলের চেষ্টা করছে চীন: যুক্তরাষ্ট্র

South China Sea-1.jpg

দক্ষিণ চীন সাগরে গত সপ্তাহে চীন যুদ্ধবিমান নিয়ে মহড়া চালানোর সময় সেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরীর জন্য কোনো হুমকি তৈরি করেনি বলে জানিয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী।

আজ শনিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, দক্ষিণ চীন সাগরে গত সপ্তাহে চীনা যুদ্ধবিমান চলাচলের সমালোচনা করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী।

তারা বলছে, চীনা সামরিক বিমানের মহড়া ওই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলতে বেইজিংয়ের যে আগ্রাসী মনোভাব, সেটির উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

মার্কিন সেনাবাহিনীর প্যাসিফিক কমান্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, থিওডোর রুজভেল্ট ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ নিবিড়ভাবে চীনা পিপল’স লিবারেশন আর্মি নেভি (পিএলএএন) ও এয়ার ফোর্সের (পিএলএএফ) কর্মকাণ্ডে নজর রেখেছে। তারা কখনোই মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ, এয়ারক্রাফট কিংবা নাবিকদের জন্য হুমকি তৈরি করেনি।

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা আলজাজিরাকে জানান, চীনা ফ্লাইটগুলো মার্কিন নৌযানের ২৫০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে আসেনি।

দক্ষিণ চীন সাগরে প্রায় ১৩ লাখ বর্গমাইল নিজেদের বলে দাবি করে আসছে চীন। আন্তর্জাতিক সালিশি আদালত হেগের আইনত কোনো ভিত্তি ছাড়াই এ দাবি করছে চীন। চীনের দাবি করা ওই অঞ্চল নিয়ে ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনেই ও তাইওয়ানসহ আরও অনেক দেশেরও পাল্টা দাবি আছে।

ওয়াশিংটন চীনের দাবির বিপক্ষে ও ওই অঞ্চলের মিত্রদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। নিয়মিতভাবে এই অঞ্চলে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ এবং সামরিক বিমান পাঠানো হয়। সম্প্রতি ওই অঞ্চলে দুই দেশেরই সামরিক মহড়া বেড়েছে।

মার্কিন সেনাবাহিনী জানায়, চীনের অধিকৃত কয়েকটি দ্বীপের কাছাকাছি এলাকায় ‘সমুদ্রের স্বাধীনতা’ সমুন্নত রাখতে সেখানে নিয়মিত যুদ্ধজাহাজ নিয়ে মহড়া চালায় মার্কিন নৌবাহিনী। এটি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ীও বৈধ বলে জানিয়েছে ইউএস প্যাসিফিক কমান্ড।

এক বিবৃতিতে ইউএস প্যাসিফিক কমান্ড জানায়, ‘যতদূর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক আইনে অনুমতি আছে, সমস্ত অঞ্চলজুড়ে যুক্তরাষ্ট্র আকাশ ও নৌপথে মহড়া চালিয়ে যাবে এবং অপারেশনাল উপস্থিতির মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দেবে।’

চীনের অভিযোগ, সম্প্রতি মার্কিন যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি এই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে। মার্কিন নৌবাহিনীর ওই অঞ্চলে টহল দেওয়ার বিষয়টিকে ‘দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপে’র সমান বলে উল্লেখ করেছে চীন।

সম্প্রতি সমুদ্রসীমায় বিদেশি নৌযানে প্রয়োজনে গুলি চালানোর অনুমতি দিয়ে নতুন কোস্টগার্ড আইন পাস করেছে চীন।

প্রতিবেশী দেশ ফিলিপাইন ইতোমধ্যেই এই আইন নিয়ে কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

5h ago