বার্সার আর্থিক দুরবস্থার কারণ মেসি নয়, করোনা: লা লিগা প্রধান

বার্সেলোনার সঙ্গে সবশেষ চুক্তির খুঁটিনাটি গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়ার পর রোষানলে পড়েছেন লিওনেল মেসি। ক্লাবটির আর্থিক দুরবস্থার জন্য এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে দোষারোপ করা হচ্ছে। কারণ, কাতালানদের সঙ্গে তার চুক্তি ৫৫ কোটি ৫২ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৯ ইউরোর, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকারও বেশি! তবে এই কঠিন সময়ে লা লিগার প্রধান হাভিয়ের তেবাসকে পাশে পাচ্ছেন ৩৩ বছর বয়সী তারকা।
সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তেবাস দায় দিয়েছেন বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসকে, ‘বার্সেলোনার নাজুক আর্থিক পরিস্থিতির (অন্য বড় ক্লাবগুলোর মতো) দায় মেসির নয়। বরং এটা কোভিড-১৯ এর ধংসাত্মক প্রভাব। কোনো মহামারী না থাকলে ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়ের কারণে যে আয় হয়, তাতে এটা পুষিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিছু গণমাধ্যম এই ব্যাপারটিতে সুষ্ঠু আচরণ করছে না।’
দুদিন আগে স্প্যানিশ দৈনিক এল মুন্দো দাবি করে, মেসির কারণেই তীব্র আর্থিক সংকটে পড়েছে বার্সা। তারা আরও জানায়, খেলাধুলার ইতিহাসে এত বিশাল অঙ্কের অর্থের চুক্তি আর কখনো হয়নি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, বার্সার ঋণের পরিমাণ ১০০ কোটি ইউরো ছাড়িয়ে গেছে। আর তাদের বাৎসরিক বাজেটের তিন ভাগের এক ভাগই ব্যয় হয় মেসিসহ বাকি খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক হিসেবে।
২০১৭ সালের নভেম্বরে মেসি ও বার্সেলোনার মধ্যে সবশেষ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ৩০ জুন। এল মুন্দোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি মৌসুমে ১৩ কোটি ৮০ লাখ ইউরো পাচ্ছেন মেসি। চুক্তির মাত্র পাঁচ মাস বাকি থাকায় তিনি ইতোমধ্যে ৫১ কোটি ১০ লাখ ইউরো পকেটে পুরেছেন। তারা আরও জানায়, তখন চুক্তি নবায়নের জন্য সম্মত হওয়ায় মেসিকে ১১ কোটি ৫০ লাখ ইউরো দেওয়া হয়। তাছাড়া, ক্লাবের প্রতি বিশ্বস্ত থাকার কারণে বোনাস হিসেবে আরও ৭ কোটি ৮০ লাখ ইউরো পান তিনি।
ইতোমধ্যে নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি দিয়ে মেসির প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে বার্সা জানিয়েছে, চুক্তি ফাঁসের ঘটনায় তারা দুঃখিত এবং এর সঙ্গে ক্লাবের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এই ঘটনার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হলে এল মুন্দোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও উল্লেখ করেছে তারা। পাশাপাশি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ক্লাবের কোচ রোনাল্ড কোমান।
Comments