পুলিশের হয়রানি-চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
পুলিশের চাঁদাবাজি, হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে রংপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ট্রাক চালকরা। সোমবার সকাল এগারোটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত নগরীর পূর্ব বাবুখাঁ ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় (রংপুর-কুড়িগ্রাম-দিনাজপুর) মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে চাঁদাবাজিতে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচার দাবি করেন।
অবরোধে রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁ ও পঞ্চগড়ের সঙ্গে দেশের অন্যান্য এলাকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) ফরহাদ ইমরুল কায়েস অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে তিন ঘণ্টা পর যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
রংপুর জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ডভ্যান ও ট্রাক্টর শ্রমিক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মানিক অভিযোগ করে বলেন, সোমবার সকালে নগরীর দর্শনা এলাকায় তাজহাট থানার উপপরিদর্শক আশরাফ বালুবাহী একটি ট্রাক থামিয়ে চালক সজীবুর রহমান সজীবের কাছে চাঁদা দাবি করেন। অথচ তার ট্রাকের সমস্ত কাগজপত্র হালনাগাদ করা ছিল। সে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে গালাগাল করে মামলা দেওয়া হয়। রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকার ছয়টি থানার পুলিশই এভাবে চালকদের হয়রান করছেন।
এসব অভিযোগের কথা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে লিখিতভাবে জানানোর পরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন এই পরিবহন নেতা। এর পরও পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেন তিনি।
ট্রাক চালকেরা জানান, রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে তারাগঞ্জ পর্যন্ত যেতেই জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশকে প্রায় এক হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ থাকার পরও রাস্তায় কাগজপত্র পরীক্ষার নামে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগের ব্যাপারে সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) ফরহাদ ইমরুল কায়েস বলেন, শ্রমিকদের ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মানিকসহ অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে কথা বলে বিষটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। ঘটনা তদন্ত করে দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছি। আর যাতে ট্রাক চালকেরা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Comments