বাবলে একে অপরের আরও কাছাকাছি এসেছেন টাইগাররা
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/bangladesh_63.jpg?itok=_zzUZ4ps×tamp=1611497885)
উপমহাদেশের দলগুলোতে মাঝে মধ্যেই খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের সংবাদ উঠে আসে। কিন্তু সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে এমন কিছু কখনোই উঠে আসেনি কিংবা থাকলেও প্রকাশ পায়নি। উপরন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বাবলে থাকার কারণে খেলোয়াড়দের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন আরও বেড়েছে বলে মনে করেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় লম্বা সময় গৃহবন্দী জীবন যাপন করতে হয়েছে প্রায় সাড়া বিশ্বের সব জনসাধারণকে। থমকে গিয়েছিল ক্রিকেটও। তবে এর প্রভাব কিছুটা কমায় ফের শুরু হয়েছে ক্রিকেট। কিন্তু সংক্রমণ ঠেকাতে খেলোয়াড়দের থাকতে হচ্ছে জৈব সুরক্ষিত বলয়ে। যেখানে পরিবার পরিজনের সদস্যরাও নেই। বাধ্য হয়েই নিজেদেরকে একত্রে থাকতে হচ্ছে খেলোয়াড়দের। আর এটাই টাইগারদের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় করছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ কোচ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে নামার আগে খেলোয়াড়দের মানসিক অবস্থা জানাতে গিয়ে ডমিঙ্গো বলেন, 'গ্রুপের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা দারুণ। এবং কিছু কিছু সময় এমন বাবল খেলোয়াড়দের পরস্পরের আরও কাছে আনে। এটি একটি আদর্শ পরিস্থিতি নয় কিন্তু আশা করছি যে এই বাবলে আমাদের টেস্ট দল থেকে কিছু উপকার হবে, যেমন দল আরও কাছে আসবে নিজেদের। একটি দল যেটির পুরোটিই একটি লক্ষ্যে স্থির থাকবে। খুবই কঠিন ব্যাপারটি কিন্তু আমি খেলোয়াড়দের দেখে আমি মুগ্ধ এবং অনুপ্রাণিত।'
তবে কাজটা যে বেশ কঠিন তাও উল্লেখ করেন এ কোচ, 'ছেলেরা গত ১-২ মাস ধরে দারুণ ছিল। বাবলে থাকাটা অবশ্যই সহজ না। মাঝেমধ্যে আপনি বুঝবেন খেলোয়াড়দের মুড যেমন থাকার কথা তেমন নেই এবং এটি খুবই স্বাভাবিক। একই জিনিস প্রতিদিন করা, হোটেলে আটকে থাকা, পরিবারের সঙ্গে থাকতে না পারা। আমরা এই বিষয়ে খেয়াল রাখছি যে খেলোয়াড় এবং কোচদের ভালো থাকাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমি খুশি যেভাবে সবাই কাজ করেছে, যেভাবে তারা একসঙ্গে থেকেছে।'
আগামী বুধবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ। আর এর জন্য খেলোয়াড়দের প্রস্তুতিটাও দারুণ হয়েছে বলে জানান এ প্রোটিয়া, 'প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। আমাদের ভালো একটি সপ্তাহ কেটেছে চট্টগ্রামে। খেলোয়াড়রা কঠিন পরিশ্রম করেছে। শুধু মাঠে না, ফিটনেস নিয়ে জিমেও কাজ করেছে তারা। এক বছর টেস্ট না খেলার পর এটি অবশ্যই একটি চ্যালেঞ্জ। বোলারদের ভিন্ন রকমের ফিটনেস প্রয়োজন। ব্যাটসম্যানদের মানসিকভাবে তৈরি থাকতে হবে লম্বা সময় ব্যাটিংয়ের জন্য।'
তবে ওয়ানডে সিরিজে সহজ জয় পেলেও টেস্ট সিরিজটা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করছেন ডমিঙ্গো, 'এটি একটি চ্যালেঞ্জ (সিরিজ) হবে। কিন্তু আমরা বেশ আত্মবিশ্বাসী কারণ আমরা এই এক সপ্তাহ বেশ ভালো অনুশীলন করেছি। প্রস্তুতি নিখুঁত হয়েছে। খেলোয়াড়রা মুখিয়ে আছে টেস্ট খেলতে। এটি এমন একটি ফরম্যাট যেখানে আমরা সামনের বছরগুলোয় উন্নতি করতে চাই। এটি আমাদের জন্য একটি সুযোগ আমরা যে রকম ক্রিকেট খেলতে চাই সেটা খেলার।'
Comments