তিন সংস্করণেই নিয়মিত হতে চান নটরাজন
কিছুদিন আগে শেষ হওয়া ভারত-অস্ট্রেলিয়ার সিরিজের মাধ্যমে থাঙ্গারাসু নটরাজন ক্রিকেট দুনিয়ায় হয়ে উঠেছেন পরিচিত নাম। ওই সফরে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নেওয়া ২৯ বছর বয়সী এই বাঁহাতি পেসার আগামীতে তিন সংস্করণেই নিয়মিত হওয়ার প্রত্যাশা জানিয়েছেন।
অজিদের বিপক্ষে স্মরণীয় টেস্ট সিরিজ জয়ের পর ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে মোকাবিলা করতে যাচ্ছে ভারত। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে চেন্নাইতে শুরু হবে দুদলের চার ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। কিন্তু তামিলনাড়ু রাজ্যের সন্তান নটরাজনকে থাকতে হচ্ছে দর্শক হয়ে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সাদা পোশাকে অভিষেকে আলো ছড়ালেও ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম দুটি টেস্টের জন্য ঘোষিত দলে জায়গা হয়নি তার।
গেল ছয় মাস টানা ক্রিকেটের মধ্যে ছিলেন নটরাজন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে নজরকাড়া নৈপুণ্য দেখানোয় তিনি ডাক পান ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরের দলে। এরপর দেশটির প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে কোনো সফরে তিন সংস্করণের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই অভিষেক ঘটে তার।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে না খেলার কারণে কিছুটা দম ফেলার ফুরসত পেয়েছেন নটরাজন। ফের অনুশীলন শুরুর আগে সোমবার তিনি মুখোমুখি হন নিজ দেশের গণমাধ্যমের, জানান সামনের পরিকল্পনার কথা, ‘আমি সকল সংস্করণে নিয়মিত খেলতে চাই এবং এর সঙ্গে আমার কাজের চাপের সামঞ্জস্য রাখতে চাই। আগামী দিনগুলোতে আমি আমার শারীরিক শক্তি ও সহনশীলতা নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। জীবনে এবারই প্রথম একটানা ছয় মাস আমি খেলেছি।’
ব্যাক-আপ হিসেবে দলে ঢুকে অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট খেলার সুযোগ মেলাটা এখনও অবিশ্বাস্য লাগে তার, ‘এটা স্বপ্নের মতো মনে হয়। আমি আইপিএলে ভালো খেলার প্রত্যাশায় ছিলাম। সেখানে ভালো করার পরের পাঁচটা মাস চোখের পলকে কেটে গেছে। আমি ভীষণ খুশি। আর শেষ কয়েকটি মাসের কথা আমি কখনোই ভুলব না।’
জাতীয় দলের সতীর্থ ও কোচরা সহজেই আপন করে নেওয়ায় তাদের প্রশংসায় মাতেন নটরাজন, ‘দলের বাকি সদস্যরা এবং সকল সাপোর্ট স্টাফ আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। একবারও মনে হয়নি আমি নতুন। বরং মনে হচ্ছিল, আমি তাদের সঙ্গে লম্বা সময় ধরে খেলছি। সবাই আমাকে মানিয়ে নিতে সাহায্য করছিল, যা খুবই স্পেশাল ব্যাপার ছিল।’
Comments