দৌড়ে এগিয়ে সাদমানই

অনেকটা জোরের উপর বল করছিলেন সাইফ হাসান। হাত খেলার নিয়ম অনুযায়ী বাঁকছিল না। একটু সামনে এসে ডিফেন্স করেই তাই সাদমান ইসলামের খোঁচা,  ‘তুমি তো বলটা সরাসরি ছুঁড়লেই পারো!’ সাইফের জবাব, ‘তোমারটা তুমি খেলো না।’

খুনসুটির বাইরে গিয়ে এই খণ্ড চিত্র থেকে একটা ধারণাও করে নেওয়া যায়। আগামীকাল বুধবার ঠেকে শুরু হতে যাওয়া চট্টগ্রাম টেস্টে ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গী হচ্ছেন সাদমানই।

অধিনায়ক মুমিনুল হকের সঙ্গে একই নেটে ভাগাভাগি করে ব্যাট করেছেন সাদমান। পরে একা একাও গুরুত্ব দিয়ে তাকে নেট সেশন করানো হয়েছে। অন্যদিকে, সাইফ ছিলেন ব্যাটসম্যানদের সহায়তার কাজে। অর্থাৎ ব্যাটসম্যান সাইফকে দলের প্রয়োজনে অনুশীলনে ‘বোলার’ হয়ে থাকতে হয়েছে।

ব্যাটিংয়ের বদলে বল হাতে সাইফ হাসান। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এমনিতে বাংলাদেশের এই দুই ওপেনারের ছন্দ বেশ নড়বড়ে। উইন্ডিজের বিপক্ষে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে দুজনেই খেলেছিলেন। ব্যর্থ হয়েছেন দুজনেই। কিছুটা কম খারাপ করায় সম্ভবত টিকে যাচ্ছেন সাদমান!

২০১৮ সালে উইন্ডিজের আগের সফরেই টেস্টে অভিষেক হয়েছিল সাদমানের। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ১৯৯ বলে ৭৬ রানের ইনিংসে টেস্ট অভিষেকেই দেন টেম্পারমেন্টের পরিচয়। ব্যাটিং স্ট্যান্সে তামিম ইকবালের ছাপও তার মাঝে দেখেন অনেকে। পরের বছর নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েও তিনি দেখান দৃঢ়তার পরিচয়।

একই বছরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের হেরে যাওয়া টেস্টে দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪১ এসেছিল সাদমানের ব্যাট থেকে। কিন্তু চোট তাকে আড়াল করে দেয় মূল মঞ্চ থেকে। লম্বা সময়ে বাইরে ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালেই ভারত সফরে গেলেও দুই টেস্টেই হন ব্যর্থ।

দলের অনুশীলনের হাবভাব আভাস দেয়, সাদমানই নামবেন তামিমের সঙ্গে। মঙ্গলবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য অধিনায়ক মুমিনুল হক জানালেন, তারা নাকি এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন ম্যাচের দিন সকালে! তবে আচমকা চোট সমস্যা ছাড়া নেটে অনুশীলন না করিয়ে কাউকে ম্যাচে নামিয়ে দেওয়ার নজির একদমই বিরল ও প্রশ্নবিদ্ধ।

বিশ্বের অনেক দলই টেস্টের আগের দিন একাদশ জানিয়ে দেয়। বাংলাদেশ এক্ষেত্রেও থাকল সাবেকী ঢঙে। অহেতুক আড়াল করার একটা চেষ্টা দেখা গেল অধিনায়কের সংবাদ সম্মেলনে।