আল জাজিরার প্রতিবেদন দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল | ছবি: স্টার
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
 
আজ বুধবার হাতিরঝিলে পুলিশ প্লাজায় নৌপুলিশের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
 
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক নয়, এটি হলুদ সাংবাদিকতা। এগুলো সাংবাদিকতার নর্মন্সের ভেতরে পড়ে না। এ বিষয়ে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জবাব দিয়েছে। আমি মনে করি, আল জাজিরা যেটা করেছে সেটা তাদের উদ্দেশ্য ছিল। সে উদ্দেশ্য নিয়েই এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা মনে করি, এগুলো ভিত্তিহীন এবং দেশবিরোধী একটি ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ।
 
সম্প্রতি ভেজাল মদপানে মানুষ মারা যাওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী যারা এগুলো করছেন, তারা মাঝে মাঝেই ভেজাল মিশ্রিত করে থাকেন। বিগত দিনগুলোর দিকে তাকালে দেখবেন, অনেক সময় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো আমাদের ডিবি পুলিশ তাদের সবগুলোকে শনাক্ত করেছে। কোথায়-কীভাবে ভেজাল হচ্ছে। তাদের ধরে ফেলেছে।
 
তিনি আরও বলেন, আমি আহ্বান করবো, যারা মদ্য পান করেন তারা অবশ্যই ভেজাল মদ পান করবেন না। ভেজাল মদ পান করলে এ ধরনের দুর্ভোগ হতে পারে। সরকারিভাবে আমাদের একটি কোম্পানি কিন্তু চালু আছে। সেটার উৎপাদন কিন্তু বন্ধ হয়নি। আর যারা ইমপোর্ট করে আনছেন, সেটাও বন্ধ হয়নি।
 
মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার কী করছে সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। মিয়ানমারে আগেও সামরিক শাসন ছিল। পরে বদলালেও সামরিক নিয়ন্ত্রিত শাসন ছিল। সেই শাসকদের কতখানি ক্ষমতা ছিল সেটা আমাদের বোধগম্য ছিল না। তবে মিয়ানমারের সীমান্তে আমাদের নজরদারি রয়েছে। যারা পূর্বে অনুপ্রবেশ করেছেন, তারা তো করেছেনই। নতুন করে কেউ যেন না করতে পারেন সে বিষয়ে আমাদের নজরদারি আছে।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago