ইটিপি ব্যবহার না করায় শিল্প দূষণ হচ্ছে: বেলা’র আলোচনায় অভিমত
বরিশালে প্রধান প্রধান শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইটিপি (তরল রাসায়নিক বর্জ্য পরিশোধন পদ্ধতি) থাকলেও এর ব্যবহার না থাকায় শিল্প দূষণ ঘটছে। এ ছাড়াও, আবাসিক এলাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠান থাকায় মাটি ও পানি দূষণের ঘটনা ঘটলেও পরিবেশ অধিদপ্তর দূষণ প্রতিরোধে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় জনমনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
আজ বুধবার বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) আয়োজিত ‘বরিশালের শিল্প দূষণ: পরিবেশ বিপর্যয় ও জনদুর্ভোগ নিরসনে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় বরিশালের শিল্প দূষণ নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপা বরিশালের সম্পাদক রফিকুল আলম।
এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, গত বছরের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তরে আরটি আই প্রয়োগ করে বরিশালের বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে ৮টি প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা হয়। এদের মধ্যে ৫টি আবাসিক এলাকায় অবস্থিত। অন্য ৩টি প্রতিষ্ঠান কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত। এসব প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন ৭০ হাজার লিটার ক্ষারীয় তরল ড্রেনের মাধ্যমে নদীতে ফেলছে। বৃহৎ এই ৮টি শিল্প করাখানায় ইটিপি থাকলেও তা সব সময় সক্রিয় থাকে না। শুধুমাত্র পরিদর্শনের সময় এটি সক্রিয় থাকে।
বক্তারা জানান, ফলে ড্রেন থেকে তরল রাসায়নিক নদীতে পড়ছে ও নদীতে হাইড্রোক্লোরিক এসিড, এমোনিয়া সালফাইড, নাইট্রেড, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়ামসহ মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রবণ নদী থেকে মানব শরীরে ঢুকছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. কামরুজ্জামান সরকার জানান, শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইটিপি থাকলেও খরচের কারণ দেখিয়ে শিল্প মালিকরা এগুলো চালু রাখতে অনীহা দেখাচ্ছেন। এগুলো যাতে সার্বক্ষণিকভাবে সক্রিয় থাকে সেজন্য একটি সফটওয়ার ডেভেলপমেন্টের কাজ অনেকদূর এগিয়েছে। আগামীতে বরিশালে আবাসিক এলাকায় কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান থাকবে না।
অনুষ্ঠানের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম জানান, নাগরিকরা সোচ্চার থাকলে পরিবেশ রক্ষার বিষয়টিতে শিল্প মালিকদের বাধ্য করা সহজ হবে।
রনজিৎ দত্তের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো কামরুজ্জামান সরকার।
Comments