ছক্কার উদযাপন করে মিলল না এক রানও!
ছক্কা হয়েছে ভেবে ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ফিস্ট বাম্প করতে এগিয়ে গেলেন তাইজুল ইসলাম। তা করে ফিরে গেলেন যে যার জায়গায়। কিন্তু ছক্কা তো হলোই না, আবার কোনো ব্যাটসম্যান আউটও হলেন না। ক্রিকেট ম্যাচে নানা বিচিত্র ঘটনার একটি হয়ে থাকল তা।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের ইনিংসের ১২৮তম ওভারের খেলা চলছে তখন। দারুণ ব্যাট করতে থাকা মিরাজ রাহকিম কর্নওয়ালের ওভারের পঞ্চম বলটা এগিয়ে এসে লং অন দিয়ে উড়ালেন। সীমানা পেরিয়ে ছক্কাই হতে যাচ্ছিল। ফিল্ডার চেষ্টা করলেন ক্যাচ ধরার। কিন্তু তা করতে গিয়ে আর ভারসাম্য থাকল না। রান বাঁচাতে তাই বল ভেতরে ছুঁড়ে ফেললেন জন ক্যাম্পবেল। তবে তিনি নিজে ছিলেন সন্দিহান। তার মনে হয়েছিল, ছয় হয়েছে। ক্রিজে থাকা বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যানের উদযাপনও ততক্ষণে হয়ে গেল।
অনেকক্ষণ রিপ্লে দেখার পর টিভি আম্পায়ার বুঝতে পারলেন, পা সীমানার বাইরে স্পর্শ করার আগেই বল ভেতরে ফেলতে পেরেছিলেন ক্যাম্পবেল। বল হাতে জমাতে না পারলেও ছক্কা হয়নি। ওদিকে ব্যাটসম্যানরা ছক্কা হয়েছে মনে করে প্রান্ত বদল করার আর কোনো দরকারই মনে করেননি। তাই যে শটে হতে পারত ছয় রান, তাতে এক রানও আসলো না!
দিনের তৃতীয় ওভারে লিটন দাস আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন মিরাজ। নিজের ব্যাটিং সত্তাকে জাগ্রত করে দারুণ ব্যাট করে চলেছেন তিনি। ৯৯ বলে ফিফটিতে পৌঁছাতেই মারেন ৭ বাউন্ডারি। যার কোনোটিই ঝুঁকি নিয়ে খেলা নয়। পেসার শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে কাট এবং স্পিনার জোমেল ওয়ারিকান ও কর্নওয়ালকে ইনসাইড আউট, ড্রাইভ করে দেখার মতো কিছু বাউন্ডারি বের করেন এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার।
দলীয় ৩১৫ রানে ৬৮ করে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিব আল হাসানের বিদায়ের পর মিরাজের ব্যাটেই রান বাড়ায় বাংলাদেশ। শেষ তিন উইকেটে টেল এন্ডারদের নিয়ে আরও ১১৫ রান যোগ করেন তিনি। পেয়ে যায় সব ধরণের ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মিরাজ আউট হয়েছেন ১০৩ রান করে। তার ব্যাটের ঝলকে সাড়ে তিনশর আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা সরিয়ে বাংলাদেশ করে ৪৩০ রান।
Comments