আড়াইশ রানের লিডই ‘পর্যাপ্ত’, তবু বাংলাদেশের চাওয়া সাড়ে তিনশো

উইকেট আর পরিস্থিতি বিবেচনায় এই রানই অনেক বড়। বাকি ৭ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সুযোগ প্রতিপক্ষকে বিশাল লক্ষ্য দেওয়ার। তবে অতদূর যাওয়ার দরকার মনে হচ্ছে না তাইজুলের
Mushfiqur Rahim
লিড বাড়াতে উইকেটে আছেন মুশফিকুর রহিম। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

উইকেট ভাঙ্গছে, ধুলো উড়ছে। স্পিনারদের জন্য সকল রসদ নিয়ে অপেক্ষা জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের বাইশ গজ। এমন উইকেটে এরমধ্যেই ২১৮ রানে এগিয়ে চালকের আসনে বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলাম মনে করছেন এই উইকেটে আড়াইশ হলেই চলবে, তবে আরেকটু নিরাপদে থাকার জন্য বাংলাদেশের চাওয়া সাড়ে তিনশো।

শুক্রবার তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের ৪৩০ রানের জবাবে ক্যারিবিয়ানরা গুটিয়ে যায় ২৫৯ রানে। ১৭১ রানের লিডের সঙ্গে ৩ উইকেট হারিয়ে দিনশেষে আরও ৪৭ রান যোগ করেছে বাংলাদেশ।

উইকেট আর পরিস্থিতি বিবেচনায় এই রানই অনেক বড়। বাকি ৭ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সুযোগ প্রতিপক্ষকে বিশাল লক্ষ্য দেওয়ার। তবে অতদূর যাওয়ার দরকার মনে হচ্ছে না তাইজুলের। দিনশেষে গণমাধ্যমে কথা বলতে এসে জানালেন, দল আছে বেশ নিরাপদে,  ‘আমার কাছে মনে হয় এরকম উইকেটে ২৫০ রানই একদম পর্যাপ্ত। কিন্তু আজ প্রথম সেশনটা আমদের খারাপ গেছে। ওই বোলিং করলে আবার কঠিন হয়ে যাবে। দ্বিতীয় সেশনে যেমন বল করেছে তা করলে ২৫০ রানই পর্যাপ্ত। তারপরও আমাদের আশা আছে তাদেরকে তিনশো, সাড়ে তিনশোর একটা লক্ষ্য দেওয়ার জন্য।’

তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে স্পিনাররা ধারাবাহিক টার্ন পাননি। মাঝে মাঝেই বল ঘুরেছে প্রত্যাশা অনুযায়ী। চতুর্থ দিনে পরিস্থিতি আরও অনেক বদলে যাওয়ারই কথা। তাইজুলও মনে করছেন, চতুর্থ দিনে বাংলাদেশেরও রান তোলা হবে কঠিন, ‘ওরাও ভাল বল করেছে। প্রথম ইনিংসেও করেছে, আজও শুরুতে উইকেট নিল। ওরা যদি ভাল জায়গায় বল করে আমাদেরও খুব সহজ হবে (রান তোলা) তা কিন্তু না। ’

দিনের প্রথম সেশনে বাংলাদেশ ৩ উইকেট তুললেও উইন্ডিজ করে ফেলেছিল ১১৪ রান। বেশ কিছু আলগা বল করতে দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশের স্পিনারদের। দ্বিতীয় সেশনে জার্মেইন ব্ল্যাকউড আর জশুয়া ডি সিলভা ৬ষ্ঠ উইকেটে যোগ করেন ৯৯ রান। এক পর্যায়ে কিছুটা ভয়ও বাড়ছিল। কিন্তু ওই সেশনেই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ৫ উইকেটে ২৫৩ থেকে আর ৬ রান যোগ করেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।

মেহেদী হাসান মিরাজ ৫৮ রানে ৪ উইকেট পেলেও তাইজুল ৮৪ রানে নেন ২ উইকেট। নিজের বোলিং নিয়ে কিছুটা অতৃপ্ত এই স্পিনার জানালেন, দীর্ঘদিন না খেলার কারণেই প্রথম সেশনে এমনটা হয়ে থাকতে পারে, ‘প্রথম সেশনে ভাল জায়গায় বল করলে আরও ভাল ফল আসত।’

‘হতে পারে আমরা অনেকদিন পর টেস্টে এসেছি, এই কারণে একটু এদিক-ওদিক হতে পারে।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago