সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে ৬ মহানগরে সমাবেশ করবে বিএনপি

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকারের ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ছয় মহানগরে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকারের ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ছয় মহানগরে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

বিভিন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির পরাজিত মেয়র প্রার্থীরা আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

বরিশাল সিটি করপোরেশনে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির পরাজিত মেয়র প্রার্থী মজিবুর রহমান সারোয়ার বলেন, ‘সিটি করপোরেশনে ভোট জালিয়াতি সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করতে আমরা ছয়টি সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা জনগণকে তাদের ভোটাধিকার সম্পর্কে বলতে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আহ্বান জানাতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে, ১৮ ফেব্রুয়ারি বরিশালে, ২৭ ফেব্রুয়ারি খুলনায়, ১ মার্চ রাজশাহীতে, ৩ মার্চ ঢাকা দক্ষিণে ও ৪ মার্চ ঢাকা উত্তর সিটিতে এসব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।’

গণতন্ত্রের স্বার্থে কার্যকর বিরোধীদলের গুরুত্ব সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্য উল্লেখ করে সরোয়ার জনগণের কাছে পৌঁছাতে এবং সমাবেশে বাধা না দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘তাদের প্রধান দাবি নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করা।’

সরোয়ার ছাড়াও বিএনপির চারজন পরাজিত মেয়র প্রার্থী- চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডা. শাহাদাত হোসেন, রাজশাহীর মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, ঢাকা উত্তর সিটির তাবিথ আউয়াল এবং দক্ষিণ সিটির প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

সরোয়ার বলেন, ‘খুলনার নজরুল ইসলাম মঞ্জু সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত না হলেও তিনি তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।’

এসময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী উপস্থিত ছিলেন।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। কিন্তু আমরা কী দেখতে পেলাম, সেখানেও রাষ্ট্রযন্ত্র ও প্রশাসন জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।’

ছয়টি মহানগরে বিএনপির সমাবেশগুলো শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত করার আশ্বাস দিয়ে শাহাদাত বলেন, ‘তারা জনসভায় জনগণের কাছে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য সংস্থার অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবির পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাবেন।’

মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, ‘আমরা জনগণকে সরকারের ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে সম্পৃক্ত করতে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘জনগণ নির্বাচনের নামে প্রহসন দেখছে। জনমত তৈরি করে আমাদের ভোটাধিকার এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে।’

ইশরাক বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে এক হাজার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ফলাফল অপরিবর্তিত থাকবে। এজন্য আমাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।’

প্রার্থীরা নির্বাচনের সময় নিজ নিজ সিটিতে তাদের অভিজ্ঞতা এবং ভোট কারচুপির বিভিন্ন অভিযোগর বর্ণনা দেন।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago