কলকাতায় গুণীজন সংবর্ধনায় বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য ভূমিকার জন্য ভারতের যারা মৈত্রী সম্মাননা পেয়েছিলেন তাদের আবার কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সংবর্ধনা দেওয়া হলো। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আজ ১২ জন মৈত্রী সম্মাননা প্রাপ্ত ব্যক্তি এবং ২২ জনের পরিবারের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
ছবি: পিআইডি

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য ভূমিকার জন্য ভারতের যারা মৈত্রী সম্মাননা পেয়েছিলেন তাদের আবার কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সংবর্ধনা দেওয়া হলো। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আজ ১২ জন মৈত্রী সম্মাননা প্রাপ্ত ব্যক্তি এবং ২২ জনের পরিবারের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

এই মাঠেই বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ১০ লাখের বেশি বাঙালির উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন।

যাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হলো তারা হলেন, জাদুকর প্রদীপ চন্দ্র সরকার, সাংবাদিক মানস ঘোষ, সুখরঞ্জন দাসগুপ্ত, পঙ্কজ সাহা, দিলীপ চক্রবর্তী, মানবাধিকার কর্মী উৎপলা মিশ্রা, অধ্যাপক জিষ্ণু দে ও তার স্ত্রী মীরা দে, প্রণবরঞ্জন রায়, ভাষাবিদ পবিত্র সরকার।

এছাড়া কবি গোবিন্দ হালদার, গায়ক মান্না দে, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ও সাবেক পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ রায়, কংগ্রেস নেতা বিজয় সিং নাহার, উপন্যাসিক মৈত্রী দেবী, সমাজসেবী লেডি রানু মুখার্জি, সমাজসেবী ইলা মিত্র, সাংবাদিক পান্নালাল দাশগুপ্ত, বাম নেতা রনেন মিত্র, আকাশবাণী ঘোষক দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক দিলীপ চক্রবর্তী, সাংবাদিক উপেন তরফদার, গায়ক অংশুমান রায়, সাংবাদিক দিলীপ মুখার্জি, লোকসভা ও রাজ্যসভার সাবেক সাংসদ ও সমাজসেবী ফুলরেনু গুহ, সাংবাদিক বাসব সরকার নিবেদিতা নাগ ও নেপাল নাগের মত মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা প্রাপকদের পরিবারের সদস্যদের হাতে স্মারক তুলে দেওয়া হয়।

কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশন থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আজ এই খবর জানানো হয়েছে।

ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের বঙ্গবন্ধুর ভাষণের বার্ষিকীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান। উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুন সারোযার কমল। কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান এর সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রথম সচিব মো. মোফাকখারুল ইকবাল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসান মাহমুদ বলেন, এই ব্রিগেডের মঞ্চে যারা মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা পেয়েছিলেন তাদেরকে আবার সম্মান দিতে পেরে গর্বিত বোধ করছি। সেদিনের ঐতিহাসিক ব্রিগেডে গোটা পশ্চিমবঙ্গ মিলিত হয়েছিল। আমার তথ্য মতে সেদিন ব্রিগেডের ঐতিহাসিক জন সমাবেশে ১৫ লাখ মানুষ ছিলেন। আমি মনে করি, সেদিনের বিগ্রেডে মুজিবের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মিলনের মধ্যে দিয়ে আমাদের বিজয় উৎসব সম্পন্ন হয়েছিল।

অতিথি সুব্রত মুখার্জি সেদিনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, সেদিন দুপুর ১টার মধ্যে কানায় কানায় ভরে গিয়েছিল ব্রিগেড। ৩টায় রাজভবন থেক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ইন্দিরা গান্ধী এই ব্রিগেডে আসেন। আমি তখন মঞ্চের নীচে ছিলাম। এটা আজ পর্যন্ত আমার দেখা ব্রিগেডে সর্বকালের সেরা জনসমাবেশ।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago