বাণিজ্য মেলা আয়োজন নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির উন্নয়নের ওপর: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি আজ রোববার বলেছেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হবে।

তিনি বলেন, ‘রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সঙ্গে আলোচনা করে সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করা হয়েছিল। এই ব্যাপারে আমরা একটা প্রাথমিক সম্মতিও পেয়েছিলাম। করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এটাকে স্লো করার জন্য। পরিস্থিতি উন্নয়ন হলে এটা আমরা করব। ফলে মেলা আয়োজনের পুরো বিষয়টি এখন নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির উন্নয়নে ওপর। আশাকরি, এই বছর আমরা একটা সুন্দর সময়ে মেলাটি করতে পারব।’

বাংলাদেশ-চায়না প্রদর্শনী কেন্দ্র হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছে এই প্রদর্শনী কেন্দ্রটি হস্তান্তর করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।

এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘বাণিজ্য মেলার জন্য পূর্বাচলে একটি স্থায়ী ঠিকানা হলেও, মেলা কবে হবে সেটা এখনও অনিশ্চিত। করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এবছর মেলা করার জন্য আমরা মানসিকভাবে একটা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এবার মেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলে, আগামীতে জানুয়ারি থেকে মেলা আয়োজন করা হবে। মেলা আয়োজনে ১ জানুয়ারি যে ধারাবাহিকতা সেটা আমরা ধরে রাখব।’

তবে এখন থেকে বাণিজ্য ও রপ্তানি সংক্রান্ত সব মেলা পূর্বাচলে নির্মিত চায়না বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজনে সরকারের পরিকল্পনার কথাও জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘সেটার জন্যই জায়গাটি ঠিক করা হয়েছে। আগামীতে আমাদের এক্সপোর্ট রিলেটেড মেলা ওখানেই হবে। ওই মেলার যে প্রেমেসিস, সেখানে সারাবছর ধরে বিভিন্ন রকমের প্রদর্শনী, অনুষ্ঠান করা হবে। সারাবছর ধরে বাণিজ্য প্রসারে নতুন এই প্রদর্শনী কেন্দ্রটিতে নানা আয়োজন করা হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বাণিজ্য প্রসারে পণ্য প্রদর্শনী সারাবিশ্বে একটি কৌশল হিসেবে দেখা হয়। তাই বিশ্বের বিভিন্ন বাণিজ্য মেলায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ তার সম্ভাবনা যাচাই করে। প্রতিবছর ঢাকাসহ দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে থাকে। কিন্তু স্থায়ী কোনো জায়গা না থাকায় বছর ধরে পণ্য প্রদর্শন করা সম্ভব হচ্ছিল না।’

তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ হবে। যেটি ২০২৬ পর্যন্ত বাড়তে পারে।’

প্রসঙ্গত, ঢাকার পূর্বাচলে ২০১৫ সালের জুলাই মাসে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ৩০৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। যার মধ্যে চীন সরকারের অনুদান ৬২৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আর এটি নির্মাণ করেছে চীনের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চায়না স্টেট কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন।

Comments

The Daily Star  | English
NCP will not accept delay in Teesta master plan

Won’t accept any implementation delay: Nahid

National Citizen Party Convener Nahid Islam yesterday said his party would not accept any delay or political maneuver over implementing the Teesta master plan.

7h ago