কলারোয়ায় একই দড়িতে গৃহবধূ ও যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একই দড়িতে ঝুলন্ত এক গৃহবধূ ও এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সকালে শ্রীপুর গ্রামে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ দুটি পাওয়া যায়। নিহত গৃহবধূ এবং যুবকের পরিবারের সদস্যদের ধারণা তাদের হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নিহত গৃহবধূ ফাতেমা বেগম (৪০) কলারোয়া উপজেলার শ্রীপতিপুর গ্রামের শেখ আহাসানের স্ত্রী ও যুবক করিম পাড় (৩০) শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট দক্ষিণ পাড়ার জয়নাল পাড়ের ছেলে।
নিহত ফাতেমার মেয়ে হাফসা লায়লা বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো গত রাতেও মায়ের সঙ্গেই ঘুমিয়েছিলাম। সকালে চিৎকার-চেঁচামেচিতে বিছানা ছেড়ে দেখি মা ও অন্য একজনের মৃতদেহ বাড়ির আম গাছে ঝুলছে। আমার মা গলায় দড়ি দিতে পারেন না।’
ফাতেমার স্বামী বাক-প্রতিবন্ধী কৃষক শেখ আহসান ইশারায় জানান, ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় আম গাছে স্ত্রী ও আরেকজনের মৃতদেহ ঝুলতে দেখেন। তার শব্দ পেয়ে এলাকাবাসীরা ছুটে আসে।
ফাতেমার ছোট জা সানজিদা খাতুন বলেন, ‘ফাতেমা ও আহসানের ২৫ বছরের দাম্পত্য। তাদের দুই ছেলে-মেয়ের মধ্যে মেয়েটি বিয়ের কথা চলছে। আত্মহত্যা করার মতো কোনো ঘটনাও ঘটেনি। আবার ওই যুবক এখানে কীভাবে এলো সেটাও রহস্যজনক। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে।’
করিম পাড়ের বাবা জয়নাল পাড় জানান, তার ছেলে দুই মাস আগে বিয়ে করেছে। পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
কলারোয়া থানার ওসি খায়রুল কবীর বলেন, সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা করে দেহ গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তা অনুসন্ধানে নেমেছে পুলিশ। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে। সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ঘটনায় মামলা হয়নি।
Comments