এটাই গোল বলের খেলা: মুমিনুল

জিততে না পারার কারণ হিসেবে বোলারদের ব্যর্থতা, সাকিব আল হাসানের না থাকা আর কাইল মায়ার্সের বীরত্বের কথাও বলেছেন তিনি।
Mominul Haque
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

৩৯৫ রানের লক্ষ্য দিয়েও জেতা যাবে না, এটা বিশ্বাস হচ্ছে না মুমিনুল হকের। তবে বাস্তবতাকে বিশ্বাস না করে উপায় কী! বাংলাদেশ অধিনায়ক বলছেন, ‘এটাই গোল বলের খেলা।’ অথচ বিশ্বের বিভিন্ন খেলায় ব্যবহৃত বেশিরভাগ বল তো গোলই হয়! বলের সঙ্গে অনিশ্চয়তার কী সম্পর্ক তা বোঝা দুষ্কর। তবে জিততে না পারার কারণ হিসেবে বোলারদের ব্যর্থতা, সাকিব আল হাসানের না থাকা আর কাইল মায়ার্সের বীরত্বের কথাও বলেছেন তিনি।

চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রোববার রচিত হয়েছে এক রূপকথা। ৩৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে শেষ দিনে অবিশ্বাস্যভাবে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছে উইন্ডিজ। রান তাড়ায় অভিষিক্ত মায়ার্স একাই করেছেন অপরাজিত ২১০ রান। আরেক অভিষিক্ত এনক্রুমা বোনারের ব্যাট থেকে এসেছে ৮৬ রান। 

মুঠোয় থাকা জয় ফসকে যাওয়ার হতাশা নিয়ে ম্যাচ শেষে কথা বলতে এসে মুমিনুল বলেছেন, হিসেবনিকেশের একদম বাইরে হয়ে গেছে সবকিছু, ‘আসলেই অবিশ্বাস্য। কিন্তু এটাই গোল বলের খেলা। ক্রিকেটে অবিশ্বাস্য অনেক কিছুই হয়ে যায়। প্রত্যাশায় ছিল না এমন কিছু হবে। আমার কাছে মনে হয়, বোলাররা ভালো জায়গায় বল করতে পারেনি। ওদের দুই ব্যাটসম্যান খুব ভালো ব্যাট করেছে।’

হারের কারণ হিসেবে বোলারদের ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছু আলাদা করছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। চট্টগ্রামের উইকেটে শেষ দিনেও যদিও বড় কোনো ফাটল দেখা যায়নি, তবে জায়গায় বল ফেললে ঠিকই মিলছিল টার্ন। তাতে অবশ্য উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের কাবু করা যায়নি একদম।

এর আগে ২০১৮ সালে অতি টার্নিং উইকেটে ক্যারিবিয়ানদের তিন দিনেই হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এবারের উইকেট আগেরবারের সঙ্গে না মিললেও উইকেট নিয়ে কোনো খেদ নেই মুমিনুলের। বরং সুযোগ হাতছাড়ার আফসোস রয়েছে তার,  ‘উইকেটে যথেষ্ট সুযোগ ছিল। আমরা আমাদের সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। সুযোগগুলো যদি কাজে লাগাতে পারতাম, খেলাটা অন্যরকম  হতে পারত। এই দুই (মায়ার্স ও বোনার) ব্যাটসম্যানের দুইটা সুযোগ ছিল। কাজে লাগালে মোমেন্টাম বদলে যেত। এই উইকেটে সেট হয়ে গেলে আউট করা কঠিন।’

৪৯ রানে থাকা মায়ার্সের ক্যাচ ছাড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। এর আগে ব্যক্তিগত ৪৭ রানে তাকে রিভিউ নিয়ে ফেরানোর সুযোগ নিতে ভুল করে বাংলাদেশ। একইভাবে বেঁচে যান বোনারও। তবে এসব ভুলের জন্য কাউকে আলাদাভাবে দায়ী করতে চাইছেন না মুমিনুল, ‘যখন দল হারবে, তখন নির্দিষ্ট করে দোষ দিতে পারবেন না। দল হারা মানে সবাই হারা, দল জেতা মানে সবাই জেতা। আমার কাছে এমন কিছু বোধগম্য হয় না (পরাজয়ের নির্দিষ্ট কোনো কারণ আছে)। দল যখন হেরেছে, সবাই এক সঙ্গে হেরেছি।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago