সেতু ভেঙে পড়ায় দুর্ভোগে কুড়িগ্রামের ৭ গ্রামের মানুষ

Kurigram bridge.jpg
সেতুটি ভেঙে পড়ার কারণে পাথরডুবী ইউনিয়নের লোকজনকে উপজেলা সদরে আসতে বাড়তি প্রায় ছয় কিলোমিটার পথ ঘুরতে হচ্ছে। ছবি: স্টার

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় বাগভান্ডার সড়কের পূর্ব বাগভান্ডার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সেতু ভেঙে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে মানুষের চলাচল। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাতটি গ্রামের মানুষ।

গত বছর বন্যায় সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় সেটি ভেঙে পড়ে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, সেতুটি ভেঙে পড়ার কারণে পাথরডুবী ইউনিয়নের লোকজনকে উপজেলা সদরে আসতে বাড়তি প্রায় ছয় কিলোমিটার পথ ঘুরতে হচ্ছে। এতে সময় এবং অর্থ দুটোই অপচয় হচ্ছে। যানবাহন ঢুকতে না পারায় এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আফিয়ার রহমান (৫৫) জানান, উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী এই সড়কটি ব্যবহার করেন বাগভান্ডার বিজিবি ক্যাম্প, ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের বাগভান্ডার, খামার পত্র নবীশ, মানিককাজী, ভোটহাট, পাথরডুবি ও উত্তর বাগভান্ডার গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন একটি সেতু দ্রুত নির্মাণের জোড় দাবি জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান এরশাদ জানান, তিনি ভেঙে পড়া সেতুটির পাশে মাটি ফেলে দুই পাড়ের মধ্যে সংযোগ ঘটিয়ে জনদুর্ভোগ কমানোর চেষ্টা করছেন। কারও সহযোগিতা ছাড়াই স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজস্ব অর্থায়নে তিনি মাটি ভরাট করে হালকা যানবাহন ও জন চলাচলের ব্যবস্থা করছেন।

এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান জানান, তিনি গত ১৫ ডিসেম্বর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেই এই সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানান তিনি।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নকশা পাঠানো হয়েছে।

বরাদ্দ পেলে শিগগির টেন্ডার আহ্বান করে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

4.8 lakh narcotics cases pending despite deadline

Judge shortage, lack of witnesses, inadequate court infrastructure blamed for delays

7h ago