খুবি শিক্ষকদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও প্রশাসনের দুর্নীতির তদন্ত দাবি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও প্রশাসনের দুর্নীতির তদন্তের দাবিতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি ডাক মারফত খোলা চিঠি পাঠাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
ছবি: সংগৃহীত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও প্রশাসনের দুর্নীতির তদন্তের দাবিতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি ডাক মারফত খোলা চিঠি পাঠাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।

আজ সোমবার সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি জারি করা প্রতিহিংসামূলক শাস্তি প্রত্যাহার এবং প্রশাসনের দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক প্রতিবাদ করে চলেছে।

প্রতিবাদের ধারাবাহিকতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে হিংসামূলক শাস্তি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা গতকাল ৭ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কিন্তু আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে কোনো মূল্যে এই তিন শিক্ষককে (আবুল ফজল, হৈমন্তী শুক্লা কাবেরী ও শাকিলা আলম) আন্দোলনে অংশ নেওয়া এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষে থাকার “অপরাধে” সম্পূর্ণ অবৈধভাবে শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর।’

‘এমতাবস্থায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসনের প্রয়োজনে নেটওয়ার্ক খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বরাবরে একটি খোলা চিঠি ডাক মারফত পাঠাবে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি।’

সংগঠনের মূল দাবিগুলোতে বলা হয়েছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তিন শিক্ষকের প্রতি প্রতিহিংসামূলক শাস্তি প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তাদের স্বপদে সসম্মানে ফিরিয়ে দিতে হবে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে আনীত সব দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচার করতে হবে। এবং অবৈধ সিন্ডিকেট বাতিল করে এর পেছনে যারা ছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। অবৈধ সিন্ডিকেটে নেওয়া সব সিদ্ধান্ত অবৈধ এবং তা বাতিল করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির কাছে খোলা চিঠি দেওয়ার পরও যদি শাস্তি প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে কঠোরতর কর্মসূচিতে যাবে নেটওয়ার্ক।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago