ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

কিশোর, মুশতাক, দিদারের বিরুদ্ধে পুলিশের চার্জশিট

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, লেখক মুশতাক আহমেদ ও ‘রাষ্ট্রচিন্তা’ সংগঠনের কর্মী দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
ফাইল ছবি: প্রবীর দাশ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, লেখক মুশতাক আহমেদ ও ‘রাষ্ট্রচিন্তা’ সংগঠনের কর্মী দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।

গত বছর মে মাসে র‍্যাব-৩ এর সহকারী পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় কিশোর, মুশতাক, দিদারসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।

আজ সোমবার রমনা থানার উপপরিদর্শক মহসিন সরদার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে গত বৃহস্পতিবার অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।

আদালত সূত্র জানায়, আসামিদের মধ্যে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। তবে, প্রমাণের অভাবে আট জনকে অব্যাহতির আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

ওই আট জন হলেন--সুইডিশ-বাংলাদেশি সাংবাদিক নেত্র নিউজের সম্পাদক তাসনিম খলিল, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক শাহেদ আলম, ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, বিএলই সিকিওরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডার-ডিরেক্টর মিনহাজ মান্নান ইমন, হাঙ্গেরি প্রবাসী জুলকারনাইন সায়ের খান, আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ ও ফিলিপ শুমাখার।

এই ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১ ধারা, ২৫ (১) (খ), ৩১ ও ৩৫ ধারার অধীনে মামলা করা হয়। আইনের এ ধারাগুলোতে ডিজিটাল মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা জাতির পিতার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রোপাগান্ডা বা প্রচারণা চালানো, এমন কোনো তথ্য সম্প্রচার বা প্রকাশ করা যা কোনো ব্যক্তিকে নীতিভ্রষ্ট করে, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকা অবমাননা, রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করা বা বিভ্রান্তি ছড়ানো, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপরাধে শাস্তির বিধান আছে।

মামলার আসামি কিশোর ও মুশতাক গত নয় মাস ধরে কারাগারে আছেন। মিনহাজ ও দিদার গত সেপ্টেম্বরে আদালত থেকে জামিন পান।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জানান, আদালত কিশোর ও মুশতাকের জামিন আবেদন ছয় বার খারিজ করেছেন।

Comments