পানি কমে যাওয়ায় ভাঙন, তিস্তার পেটে যাচ্ছে চরের ফসল
লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর কোনো চ্যানেলেই পর্যাপ্ত পানি না থাকায় আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। কৃষকরা বলছেন, প্রতিবছরই এ সময় তিস্তায় পানি কম থাকে। এবার পানি তুলনামূলক বেশি কমে যাওয়ায় ভাঙনের প্রবণতাও বেড়েছে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার চর কালমাটি এলাকার কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তিস্তার বেলে মাটিতে পলি পড়ে যে চর জেগে ওঠে তা খুবই উর্বর। ফসল ভালো হয়। এবার পাঁচ বিঘা জমিতে আলু আর তিন বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করছি। গত এক সপ্তাহে ভাঙনে প্রায় দুই বিঘা জমি তিস্তার পেটে চলে গেছে। ভাঙন বন্ধ না হলে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।’
একই এলাকার কৃষক মজিদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় এবার ফসল ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিস্তার চ্যানেল প্রবাহিত থাকলে এ রকম সমস্যায় পড়তে হতো না।’
এবার ২০ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করছেন হাতীবান্ধা উপজেলার চর সিন্দুর্না এলাকার কৃষক আনোয়ার হোসেন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভাঙনে তার প্রায় চার বিঘা জমি বিলীন হয়ে গেছে।
একই চরের কৃষক নিজামুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘চলতি মৌসুমে সব ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু কতটা ঘরে তোলা সম্ভব হবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন ফসলি জমি চলে যাচ্ছে তিস্তার পেটে।’
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে এখনো ৭০০ কিউসেক পানি রয়েছে। কিন্তু পলি জমায় মূল তিস্তায় কোথাও ৬০ আবার কোথাও ৭৫ কিউসেক পানি পাওয়া যাচ্ছে। নিয়মিত খনন করা ছাড়া তিস্তার চ্যানেল প্রবাহিত করা সম্ভব না। একটি নির্দিষ্ট চ্যানেলে পর্যাপ্ত পানি থাকলে সেটা চরের কৃষকের জন্য আর্শীবাদ হবে।’
Comments