কিশোরগঞ্জে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলের একটি বাড়ি থেকে একই দড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাড়াইল উপজেলার রাহেলা গ্রামের বাড়িটি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মরদেহ উদ্ধার করা দুই জন হলেন— রাহেলা গ্রামের ওমায়েরের স্ত্রী শাহনাজ বেগম (৩০) ও তাদের মেয়ে প্রিয়তি (১২)। প্রিয়তি ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান।
তিনি জানান, শাহনাজ ও তার মেয়ে প্রিয়তির মরদেহ তাদের বসতঘরের একটি দড়িতে ঝুলতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধারের সময় শাহনাজের স্বামী ওমায়েরকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
ওসি আরও জানান, ওমায়ের ও শাহনাজ এক সময় মরিশাসে পোশাকশ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তিন বছর আগে তারা দেশে ফিরে আসেন এবং ওমায়ের হাঁসের ডিম ফোটানোর হ্যাচারির ব্যবসা শুরু করেন। গত আট মাস আগে ওমায়ের নরসিংদীতে আরেকটি বিয়ে করে। এরপর থেকেই শুরু হয় পারিবারিক কলহ। গতকাল সকালেও শাহনাজ ও ওমায়েরের মাঝে ঝগড়া হয় এবং ওমায়ের শাহনাজকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। পরে বিকেলে শাহনাজ তার আড়াই বছর বয়সী মেয়েকে এক প্রতিবেশীর কাছে রেখে আসেন এবং রাতে ১২ বছর বয়সী মেয়ে ও তার মরদেহ একই দড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশের করিমগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র এএসপি ইফতেখারুজ্জামানও ঘটনাস্থলে যান। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Comments