বায়ার্নকে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে তুললেন লেভানদভস্কি
ম্যাচের দুই অর্ধে একটি করে গোল করলেন দারুণ ছন্দে থাকা পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ত লেভানদভস্কি। ২০২০ সালের ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের নৈপুণ্যে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে গেল বায়ার্ন মিউনিখ।
সোমবার রাতে কাতারের আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ২-০ জেতে বাভারিয়ানরা। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাধারীদের কাছে পরাস্ত হয় মিশরের ক্লাব আল আহলি।
শুরু থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে খেলা বায়ার্ন অষ্টম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত। কিন্তু বেঞ্জামিন পাভার্দের ক্রসে সার্জ ন্যাব্রির হেড থাকেনি লক্ষ্যে। জার্মান পরাশক্তিদের অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ১৭তম মিনিটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন লেভানদভস্কি। ডি-বক্সের ভেতরে ন্যাব্রির পাসে জোরালো নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
চার মিনিট পর বায়ার্নের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় গত মৌসুমে আফ্রিকার সর্বোচ্চ ক্লাব আসরের শিরোপা জেতা আহলি। মোহামেদ হানির ক্রসে দর্শনীয় কায়দায় হেড করেছিলেন তাহের মোহামেদ। তবে তা সহজেই লুফে নেন গোলরক্ষক মানুয়েল নয়্যার।
প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আরও বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করে ক্লাব বিশ্বকাপের ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন। তবে আহলি গোলরক্ষক মোহামেদ আল শেনাউই বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়ানোয় ব্যবধান বাড়েনি। সেইসঙ্গে ছিল বায়ার্নের তারকাদের ব্যর্থতাও। ৩৭তম মিনিটে দলটি নষ্ট করে সুবর্ণ সুযোগ। জশুয়া কিমিচের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন লেভানদভস্কি। কিন্তু উড়িয়ে মেরে হতাশ করেন তিনি।
বিরতির পর আগের মতোই আক্রমণাত্মক ধাঁচে খেলতে থাকে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। ৫৭তম মিনিটে কিমিচের কর্নারে টমাস মুলারের হেড রুখে দেন শেনাউই। ৭০তম মিনিটে বদলি ফরোয়ার্ড এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোতিংয়ের হেডও লুফে নেন তিনি। পরের মিনিটে কোরেন্তিন তোলিসো গোলপোস্টের উপর দিয়ে মেরে সুযোগ হাতছাড়া করেন।
অবশেষে ৮৫তম মিনিটে দলের জয় নিশ্চিত করেন লেভানদভস্কি। লেরয় সানের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে আহলির জাল কাঁপান ফাঁকায় থাকা ৩২ বছর বয়সী এই তারকা। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এটি তার ২৯তম গোল।
আগামী বৃহস্পতিবার রাতে ফাইনালে মেক্সিকোর ক্লাব তাইগ্রেসের মুখোমুখি হবে বায়ার্ন। প্রথম সেমিতে ব্রাজিলের দল পালমেইরাসকে হারিয়ে উত্তর ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের প্রথম দল হিসেবে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে তারা।
Comments