গাবতলী-নবীনগর পর্যন্ত সড়কে হবে ১০ লেন: সেতুমন্ত্রী

সালেহপুর সেতু-২’র নির্মাণকাজ উদ্বোধন। ছবি: স্টার

গাবতলী থেকে নবীনগর পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়ক (ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক) ১০ লেনে উন্নীতকরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাভারের আমিনবাজার এলাকায় চার লেন বিশিষ্ট সালেহপুর সেতু-২’র নির্মাণকাজ উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আল মামুন, সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আরা নিপা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, ঢাকা জেলা উত্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ-হিল কাফী ও সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম সায়েদ প্রমুখ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গাবতলী থেকে নবীনগর পর্যন্ত মহাসড়ক ১০ লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এখন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের কাজ চলমান।’

‘এখানে আরও একটি বিষয় রয়েছে, গাবতলী সেতুটি অত্যন্ত ব্যস্ত সেতু। এই সেতুটি খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। এটিকে আমরা সাজাতে চাই। সে কারণে বাংলাদেশের প্রথম আট লেনের সেতু হতে যাচ্ছে এই গাবতলী সেতু এবং সেটাও প্রক্রিয়াধীন। আমরা অনতিবিলম্বে কাজ শুরু করব’, বলেন তিনি।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নবীনগর থেকে পাটুরিয়া পর্যন্ত মহাসড়ককে জাপানের অর্থায়নে জিটুজি ভিত্তিতে চার লেনে উন্নীত করা হবে। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া, সাভার এলাকায় মহাসড়কের ওপর যেসব বাজার রয়েছে, সেসব বাজারের যানজট নিরসনে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এটা সাভারবাসীর জন্য আনন্দের খবর। আর চার লেন, আট লেন মহাসড়ক কোনো কাজে আসবে না, যদি আমরা সড়কের ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বাড়াতে না পারি।’

চার লেন বিশিষ্ট সালেহপুর সেতু-২’র  নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়ন কাল ধরা হয়েছে ২৪ মাস। অর্থাৎ নির্মাণকাজ ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। নতুন এ সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলে স্থানটিতে চার লেন বিশিষ্ট দুটি সেতু হবে।

আগামী দুই-এক দিনের মধ্য সালেহপুর সেতুর বন্ধ অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে

গত ১৩ জানুয়ারি সালেহপুর সেতুর ঢাকামুখী লেনে সত্তর দশকে নির্মিত পুরাতন সেতুর গার্ডারের বেশ কয়েকটি ফাটল দেখা দেওয়ায় সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ফলে সেতুর ওই অংশে ঢাকামুখী লেনটি বন্ধ রয়েছে এবং সব ধরনের যানবাহন অপর দুটি লেন দিয়ে চলাচল করছে। এ কারণে প্রতিদিন সেতুস্থল হলে মহাসড়কের উভয় দিকে এক কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সেতুটির সংস্কারকাজ শুরু করে গত ১৫ জানুয়ারি। সড়ক ও জনপথ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গত ১৬ জানুয়ারি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, ‘সেতুর সংস্কারকাজ সমাপ্ত হতে প্রায় তিন সপ্তাহ সময় লাগবে।’ আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে আজ দুপুরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ঢাকা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আল মামুন।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago