খুবি শিক্ষক প্রসঙ্গে হাইকোর্টের আদেশ

‘বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতন্ত্রের চর্চা ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতায় যুগান্তকারী ভূমিকা হয়ে থাকবে’

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) তিন শিক্ষক আবুল ফজল, হৈমন্তী শুক্লা কাবেরী ও শাকিলা আলমের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। শিক্ষকদের অন্যায় বহিস্কারাদেশ প্রসঙ্গে হাইকোর্টের ভূমিকাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।

নেটওয়ার্ক জানায়, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গণতন্ত্রের চর্চা ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতার জন্য এটি যুগান্তকারী একটা ভূমিকা হয়ে থাকবে।

আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক আরও জানায়, আমরা আস্থাশীল ছিলাম আদালত বাংলাদেশের গণতন্ত্র চর্চার প্রতি দায়বদ্ধ এবং আমাদের সহকর্মীরা সুবিচার পাবেন। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিহিংসা ও উপাচার্যের ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত ২৮ জানুয়ারি চাকুরিচ্যুতি ও অপসারণ আদেশের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে রিট আবেদন করে গত ৪ ফেব্রুয়ারি। ওই রিটের শুনানি শেষে আজ উচ্চ আদালত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশের বিরুদ্ধে রুল নিশি জারি করেছেন এবং তিন শিক্ষকের শিক্ষকতা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে স্থিতাবস্থার আদেশ প্রদান করেছেন। যেহেতু ওই তিন শিক্ষক এখনো তাদের দায়িত্ব হস্তান্তর করেননি, তাই তাদের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে কোন আইনি বাধা নেই।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক জানায়, ‘আমরা আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতাসমেত জানাতে চাই যে হাইকোর্ট খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অরাজকতার মধ্যে তার ভূমিকা নির্ধারণ করেছেন এবং ‘স্ট্যাটাসকো’অর্ডার দিয়েছেন। অর্থাৎ, আদালত বিবেচনা করছেন সাবেক উপাচার্যের হঠকারী হিংস্র নেতৃত্বে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যা-যা এবং যেভাবে করে আসছিল তা অগ্রহণযোগ্য, অন্যায়, হীনস্বার্থে পরিচালিত। বিশ্ববিদ্যালয়কে দাপ্তরিকভাবে পূর্বাবস্থায় ফেরত যেতে হবে। আমরা এই গণতান্ত্রিক ভূমিকার জন্য হাইকোর্টকে ধন্যবাদ জানাই।’

এছাড়াও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে হিংসামূলক শাস্তি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের বেধে দেয়া সময় গত ৭ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর ফ্রাংকেনস্টাইন-শাসকের রায়কে বদলানোর কোনো ভূমিকা নেয়নি। এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে চারটি দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। দাবির মধ্যে আছে- তিন শিক্ষককে কাজে যোগদানের ক্ষেত্রে কোনো বাধা প্রদান না করা, অবিলম্বে তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে করা বরখাস্ত এবং অপসারণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, খুবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে আনীত সব দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচার এবং অবৈধ সিন্ডিকেট বাতিল করে এর পেছনে যারা ছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা এবং অবৈধ সিন্ডিকেটে নেয়া সব সিদ্ধান্ত অবৈধ এবং তা বাতিল করা।

আরও পড়ুন-

খুবির সেই ৩ শিক্ষককে চাকরিতে বহালের নির্দেশ হাইকোর্টের

Comments

The Daily Star  | English

50% of bank directors to be independent

The interim government is set to amend the Bank Company Act by reducing the board members from a single family, the BB governor tells The Daily Star

12h ago