এমন হারের মাঝেও ইতিবাচক দিক দেখছেন মিরাজ

Mehedi hasan Miraz
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সহজেই হারানোর আশা নিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টে নামা বাংলাদেশ খেয়েছে বিশাল ধাক্কা। শেষ দিনের উইকেটে রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে জিতেছে তারা। বাংলাদেশকে হারাতে সবচেয়ে বড় অবদান যে দুজনের সেই কাইল মায়ার্স আর এনক্রুমা বোনার নেমেছিলেন জীবনের প্রথম টেস্ট খেলতে। ঘরের মাঠে কম শক্তি নিয়ে আসা ক্যারিবিয়ানদের কাছে এই হার দেশের ক্রিকেটের বড় এক ক্ষত। তবে মেহেদী হাসান মিরাজ এর মাঝেও খুঁজছেন ইতিবাচক দিক!

প্রথম টেস্টে ব্যাটে বলে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ছিল মিরাজই। সেঞ্চুরির সঙ্গে দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছেন ৮ উইকেট।

বাংলাদেশের দেওয়া ৩৯৫ রানের লক্ষ্য চতুর্থ দিন নেমে ১১০ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়েছিল ক্যারিবিয়ানরা। শেষ দিনে দরকার ছিল আরও ২৮৫ রান। টেস্ট ড্র করতেও টিকতে হতো তিন সেশন। মায়ার্স আর বোনার নেমে প্রথম দুই সেশনই বাংলাদেশকে রাখেন উইকেটবিহীন। বল হাতে ধারহীন তিন স্পিনার নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম আর মিরাজ খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেননি। কিছু সুযোগ হাতছাড়া হয় ক্যাচ মিস আর রিভিউ নেওয়ার ভুলে।

চট্টগ্রামের হারের যন্ত্রণা নিয়ে ঢাকায় ফেরা বাংলাদেশের সামনে এখন বাঁচা মরার লড়াই। সিরিজ বাঁচাতে মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে জিততেই হবে। মঙ্গলবার অনুশীলনে আসা মিরাজকে তবু তাড়া করল শেষ টেস্টের হার।

উইন্ডিজের খেলোয়াড়রা এত ভাল করবেন এটা নাকি ভাবনাতেও ছিল না তাদের,  ‘আমরা চিন্তাও করতে পারিনি ওরা এত ভালো ব্যাট করবে। কারণ ওদের অনেক খেলোয়াড়েরই (তিনজনের) কিন্তু অভিষেক হয়েছে এই ম্যাচে। কিন্তু প্রত্যাশার বাইরে অনেক ভালো ক্রিকেট খেলেছে ওরা।’

এরপরই মিরাজ ফিরে গেলেন পুরনো দিনে। যখন টানা হারতে থাকা বাংলাদেশ দল সান্ত্বনা পেতে হারের মাঝেও খুঁজে বেড়াত আশার আলো,  ‘আমি মনে করি যে ওদের দিন ছিল, একটা দিন ওরা ভালো ক্রিকেট খেলেছে, এজন্য ওরা জিতেছে। চারটা দিনই কিন্তু আমরা ডমিনেট করেছি, ভালো ক্রিকেট খেলেছি। এই জিনিসগুলো আমাদের ইতিবাচক দিক ছিল। একটা দিন খারাপ যেতেই পারে ক্রিকেটারদের এবং খেলোয়াড়দের। হয়ত আমাদের ওই দিনটাই খারাপ ছিল, শেষ দিনটা। ওরা ভালো ক্রিকেট খেলেছে বলেই জিতেছে।’

চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের বাইশ গজ নিয়েও আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন মিরাজ। তারা যেমনটা আশা করেছিলেন উইকেট থেকে নাকি পাওয়া যায়নি তেমন সহায়তা,  ‘আমরা আসলে যেরকম আশা করছিলাম সেরকম হয়নি (উইকেট)। আপনারা দেখেন শেষের দিন কিন্তু অসমান ওই রকম কিছুই হয়নি উইকেট থেকে। উইকেটের বাইরে যা ফাটল ছিল ওখান থেকে হয়ত কিছু হচ্ছিল কিন্তু যেখানে গুড লেংথ এরিয়া ছিল ওখানে ওত বেশি হয়নি। কিন্তু তারপরও আমি বলবো আমাদের স্পিনাররা চেষ্টা করছে ।

‘দেখেন দুই একটা বল খারাপ হয়েছে সেখান থেকে বাউন্ডারি অপশন হয়ে গিয়েছে। তাইজুল ভাই খুব ভালো বল করেছে, হয়ত আমি বা নাঈম যদি আরেকটু ভালো বল করতাম হয়ত ওদের আরও একটা উইকেট পড়ার সুযোগ তৈরি হতো।’

Comments

The Daily Star  | English
rohingya-migration

Persecuted by Arakan Army, Rohingyas fleeing to Bangladesh

Amid escalating violence in Myanmar’s Rakhine State, Rohingyas are trespassing into Bangladesh every day, crossing the border allegedly to escape the brutality of Myanmar’s rebel group, the Arakan Army (AA).

2h ago