এত ওভার বল করার পরিকল্পনা ছিল না জায়েদের

পাঁচটা স্পেলে বল করেছেন ১৮ ওভার। সারাদিনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বল করতে দেখা গেছে আবু জায়েদ রাহিকে। তাতে ৪৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। স্পিনারদের জন্য সহায়ক উইকেটে প্রথম দিনে দলের সফলতম বোলার তিনিই। উইন্ডিজের সঙ্গে সমান-সমান লড়াইয়ের দিন শেষে এই পেসার জানালেন দীর্ঘ বিরতির পর খেলতে নেমে একদিনে এত ওভার বল করার পরিকল্পনা ছিল না তার।
এমনিতে বাংলাদেশি পেসারদের দেশের মাঠে টেস্টে ম্যাচে লম্বা সময় বল করতে দেখা যায় কমই। ধারাবাহিকতার ঘাটতির সঙ্গে চোট সমস্যাতেও প্রায়ই ভুগেন তারা। ডানহাতি পেসার জায়েদ এই দুদিক থেকেই কিছুটা ব্যতিক্রম।
বলে গতি খুব বেশি নেই। কিন্তু সেটা পুষিয়ে দেন নিয়ন্ত্রণ আর স্যুয়িংয়ের মুন্সিয়ানায়। তাইজুল ইসলাম সর্বোচ্চ ৩০ ওভার বল করেছেন। ২২ ওভার বল করে রান ধরে রাখার কাজটা করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু বেশ অধারাবাহিক ছিলেন নাঈম হাসান। আলগা বল দিয়ে তিনি চাপ সরিয়েছেন ব্যাটসম্যানদের।
তাকে দিয়ে ১২ ওভারের বেশি করাতে পারেননি মুমিনুল হক। সেদিক থেকে একজন পেসার হয়েও দিনে ১৮ ওভার বল করা রাহির উপর দিয়েই গেছে বেশি চাপ। দিনশেষে জানালেন, পরিকল্পনা না থাকলেও পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে এমন চাপ নিতে প্রস্তুত তিনি, ‘না সত্যি বলতে আমার কাছে কোনো পরিকল্পনা ছিল না যে ১৮ ওভার বল করব। অন্তত ১৫ ওভার বোলিং করব আমি ধরে রেখেছিলাম। অবশ্যই আমরা পেশাদার ক্রিকেটার, আমাদের এসব চ্যালেঞ্জ নিয়েই থাকতে হবে।’
ওয়ানডাউনে নামা শেন মোসলি তার অনেকটা বাইরের বল টেনে এনে হয়েছেন বোল্ড। এতে ব্যাটসম্যানের দায় অনেক বেশি থাকলেও পরের উইকেট নিয়ে গর্ব করতে পারেন। আগের ম্যাচের নায়ক কাইল মেয়ার্সকে ড্রাইভ করতে প্রলুব্ধ করেছেন। বাঁহাতি মেয়ার্সকে দিয়েছেন হালকা বেরিয়ে যাওয়া একটি পিচড আপ ডেলিভারি। তাতেই স্লিপে ক্যাচ গেছে তার। ইনিংসে আরও একাধিকবার উইকেট নেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন। সফল না হলেও চাপ জারি রেখে রান আটকে দেওয়ার কাজটা করেন ভীষণ দক্ষতার সঙ্গে। নিজের সীমাবদ্ধতা জেনে আর শৃঙ্খলা মেনে বল করেই এমন সাফল্য বলে মত তার, ‘আমি যে গতিতে বল করি, আমার পেইসটা একটু কম। আমাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সারভাইভ করতে হলে আমার লেংথ এবং লাইন ঠিক রাখতে হবে। যখন বল করি, তখন আমার মাথায় থাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করতে হলে আমাকে ভাল লেংথ এবং লাইনে বোলিং করতে হবে। এছাড়া আমার কাছে কোনো দ্বিতীয় বিকল্প নেই। আমি এটাই মাথার মধ্যে রেখে বল করি।’
প্রথম দিন শেষে প্রতিপক্ষ উইন্ডিজ করেছে ২২৩ রান, বাংলাদেশ নিতে পেরেছে ৫ উইকেট। দিনটা তাই সমান-সমান। রাহির আশা দ্বিতীয় দিনে ২৭০ থেকে তিনশোর মধ্যে ক্যারিবিয়ানদের আটকে ম্যাচে চালকের আসনে চলে যাবে বাংলাদেশ।
Comments